কাছাড়ের তৃতীয় ঐক্য পদযাত্রায় বদরপুরে জনসমুদ্র
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৩ নভেম্বর : কাছাড় জেলা প্রশাসন ও ‘মাই ভারত’-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তৃতীয় ঐক্য পদযাত্রা রবিবার বদরপুরকে রূপ দেয় দেশপ্রেম, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বর্ণিল মিলনমঞ্চে। ঐতিহাসিক বদরপুর ফোর্ট থেকে রেলওয়ে ইনস্টিটিউট পর্যন্ত বিস্তৃত এই বিশাল পদযাত্রায় কালাইন, কাটিগড়া ও বদরপুর অঞ্চল থেকে ১,৪০০-রও বেশি যুবক, সাধারণ নাগরিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সাম্প্রতিক সময়ে কাছাড় জেলায় এটি অন্যতম বৃহত্তম গণসমাবেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য। উপস্থিত ছিলেন ‘মাই ভারত’-এর উপ-সঞ্চালক মাহবুব আলম লস্কর, বদরপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন রুবি নাগ, কাটিগড়া সার্কল অফিসার ড. রবার্ট টেলর, বদরপুর সার্কল অফিসার জয় ক্রিশ্চিয়ানা নগমলাই সহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা। এছাড়াও ২৯টিরও বেশি যুবসংঘ, এনজিও, আত্মসহায়ক গোষ্ঠী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি পদযাত্রাটিকে ঐক্য ও নাগরিক গৌরবের উৎসবে পরিণত করে।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্যের অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য। তিনি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে স্মরণ করে বলেন, সর্দার প্যাটেল ভারতের রাজনৈতিক ঐক্যের অক্লান্ত স্থপতি। তিনি উল্লেখ করেন যে স্বাধীনতার পর ৫৬২টি দেশীয় রাজ্যকে একত্রিত করে ভারতকে সুসংহত করার যে দৃষ্টান্ত প্যাটেল স্থাপন করেছিলেন, তা আজও বিশ্বের এক অনন্য প্রশাসনিক সাফল্য হিসেবে স্বীকৃত। স্বাগত বক্তব্য় রাখেন ‘মাই ভারত’-এর উপ-সঞ্চালক মাহবুব আলম লস্কর। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা—লোকনৃত্য, মণিপুরি নৃত্য, খাসিয়া নৃত্য এবং জনপ্রিয় বাঙালি ধামাইল। বিভিন্ন সংস্কৃতির এই সমন্বয় পদযাত্রার মূল বার্তা—ঐক্য ও সম্প্রীতিকে—আরও তাৎপর্যময় করে তোলে। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি জেলা প্রশাসন, যুব সংগঠন ও বিভিন্ন বিভাগের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


