সংসদে পেশ হল ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল, সরব বিরোধী জোট
১৭ ডিসেম্বর : অবশেষে নির্ধারিত সময়ে মঙ্গলবার সংসদে পেশ হল ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল (One Nation One Election Bill)। এই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। বিল পেশ হতেই বিলের তীব্র বিরোধিতায় সরব হল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া।’ কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে বলে উঠলেন, ‘এক ব্যক্তির স্বার্থরক্ষার লক্ষ্যে অন্যায়ভাবে এই নীতি চালুর চেষ্টা চলছে। মূলত একনায়কতন্ত্র কায়েম করতেই এই বিল আনতে চাইছে মোদি সরকার।’
এদিন সংসদে ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল দুটি পেশ হতেই তুমুল হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া।’ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সুর সপ্তমে চড়িয়ে বলেন, ‘এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোয় আঘাত করবে।’ একইভাবে বিলের বিরোধিতায় সরব হন সাংসদ টিআর বালু। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের যখন দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই নেই, তারা কিসের ভরসায় এই বিল পেশ করছে সংসদে?’ একইভাবে প্রশ্ন তোলেন সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও।
অন্যদিকে, আজ সকালেই ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলের বিরোধিতায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দীর্ঘ পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সরাসরি গণতন্ত্রের উপর আঘাত। তবে বাংলাও চুপ করে বসে থাকবে না। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’
তবে, এই বিলে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক দল টিডিপি (TDP)। সম্মতি জানিয়েছে শিন্ডে শিবিরও। কিন্তু এই বিল পেশ হলে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ আপত্তি জানতে পারে বলে আগাম আঁচ করতে পেরেছিল মোদির মন্ত্রীসভা। তাই অমিত শাহ এই বিল দু’টি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন মেঘওয়ালকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা মেনে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বিল দু’টি নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁরা যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাবেন।