কর্মচারী ও আধিকারিকদের ধর্মঘটে অচল গ্রামীণ ব্যাঙ্ক পরিষেবা

আশু চৌধুরী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৩ ফেব্রুয়ারি : বরাকেও গ্রামীণ ব্যাঙ্কে শুক্রবার কোন লেনদেন হল না। বিপাকে পড়েছিলেন গ্রাহকরা। এ দিন সারা দেশের সঙ্গে আসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা আন্দোলনে যোগদান করায় একথায় ব্যাঙ্কগুলো বন্ধ ছিল। গ্রাহকরা এসে গেটে তালা দেখে হতাশ হয়ে বাড়িমুখো হতে হয়েছে।

জানা যায়, সারা ভারত আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংস্থার আহ্বানে আটদফা নিয়ে আসাম গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংস্থা এবং আসাম গ্রামীণ ব্যাঙ্ক আধিকারিক সংস্থার শিলচর, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ এর সদস্যবৃন্দ ধর্মঘটে সামিল হলেন। এতে শুক্রবার দেশের সবক’টি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সঙ্গে বরাক উপত্যকার ব্যাঙ্কগুলোরও গ্রাহক পরিষেবা বন্ধ ছিল।

কর্মচারী ও আধিকারিকদের ধর্মঘটে অচল গ্রামীণ ব্যাঙ্ক পরিষেবা

দাবিগুলোর মধ্যে ছিল দেশের গ্রামীণ ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারি করা চলবে না, দীর্ঘ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলোয় ফাঁকা পড়ে থাকা পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে, গ্রামীণ ব্যাঙ্কে দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করা অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের দ্রুত পদোন্নতি দিতে হবে ইত্যাদি। আন্দোলনকারীরা জানান, অন্যান্য রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলোতে কর্মচারীদের দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে পদোন্নতি হয়। অথচ একই যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা থাকার পরও গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলোয় পদোন্নতির জন্য ৬ থেকে ৭ বছর লেগে যায়। এ ছাড়া তাঁরা পেনশন নীতিতে অন্তর্ভুক্ত সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো তুলে ধরেন। দাবিগুলো পূরণের দাবিতে দেশের ৪৩টি সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই হরতালের ডাক দিয়েছে বলেও জানান।

এরপরও যদি ভারত সরকার থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া না পাওয়া যায় তাহলে আগামী ২৭ এবং ২৮ মার্চ দু’দিন দেশজুড়ে ধমঘটে যুক্ত হবেন বলে সংস্থার শিলচর সংস্থার আঞ্চলিক সম্পাদক প্রীতম চন্দ এবং আধিকারিক সংস্থার সম্পাদক  জন্মজিৎ দেবনাথ জানিয়েছেন।

Author

Spread the News