ঘুমন্ত স্ত্রীর গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন, পলাতক স্বামী
৮ ফেব্রুয়ারি : পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর আক্রোশের বলি হলেন স্ত্রী। ঘুমন্ত স্ত্রীর গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করল স্বামী। মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার হাতে জখম হয় নাবালক ছেলেও। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। বুধবার এমনই রোমহর্ষক ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ১১ নম্বর মোহাড় অঞ্চলের বড়দা এলাকায়। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, পরিবারে নিত্যদিন ঝামেলা লেগেই থাকত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। মঙ্গলবারও ঝামেলা চরম আকার নেয় স্বামী গুরুপদ জানা ও স্ত্রী উমা দাস জানার মধ্যে। ঝগড়া শেষে ঘুমোতে চলে যান উমা। তখনও রাগে ফুঁসছিলেন স্বামী গুরুপদ জানার। এরপরই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনা। অভিযোগকারী বাবার কথায়, “মঙ্গলবার রাতে মেয়ের সঙ্গে তুমুল অশান্তি শুরু করে গুরুপদ। কিছুক্ষণ পরে নাতিকে নিয়ে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে জামাই। মায়ের চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিল নাতিও। বাবাকে আটকাতে গিয়ে জখম হয় সে। স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি কেটে দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় গুরুপদ। সমস্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাতি।” গৃহবধূ হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় সবং থানার পুলিশ। জামাই গুরুপদর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মৃত মহিলার বাবা জানিয়েছেন, ১৫ বছর আগে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বড়দা এলাকার বাসিন্দা গুরুপদ জানার। তাঁর অভিযোগ, জামাই মদে আসক্ত। মেয়েকে প্রতিনিয়ত সন্দেহ করত। বিয়ের পর থেকে মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে মারধর করত। বহুবার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু জামাইয়ের আচরণে বদল ঘটাতে পারেননি।