তিন মহিলাকে সংবর্ধনা সর্বধর্ম সমন্বয় সভার করিমগঞ্জে
পিএনসি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ১৩ নভেম্বর : বর্তমান সমাজে মহিলারা কার্যত নিরাপত্তাহীন। তবে ছোট থাকতে ছেলেদের সংস্কার দিয়ে বড় করলে বড় হয়ে তারা মহিলাদের অবশ্যই সম্মান দেবে। ‘বরাক উপত্যকা সর্বধর্ম সমন্বয় সভা’র ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এই অভিমত উঠে এসেছে বিভিন্ন বক্তাদের মুখ থেকে। নারী সুরক্ষার উপর এদিন বক্তব্য রাখেন বক্তারা। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখানো তিন মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ এবং উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। এর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা সিডব্লুসির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন গীতা মুখার্জি।
নারী সুরক্ষা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডিজায়ার ফর লাইফ রিসার্স ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় মহিলা সভানেত্রী গীতা পাণ্ডে বলেছেন, ছেলেদের নজর যদি খারাপ না হয় তাহলে মেয়েরা সুরক্ষিত থাকবে। এর জন্য এ ব্যাপারে ছেলেদের প্রথম শিক্ষা দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, একটি মেয়ে তার পরিবার ছেড়ে স্বামীর হাত ধরে আসে নতুন আরেকটি পরিবারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী গৃহে নিগৃহীত হতে হয় গৃহবধূকে। স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার আছে ঠিক, কিন্তু স্ত্রীকে মারধরের অধিকার নেই স্বামীর। এছাড়া যুবতী, মহিলাদের ড্রেস কোড নিয়েও নিজের অভিমত তুলে ধরেন তিনি। আইনজীবী অর্চনা দত্ত বলেন, কিছু সংখ্যকের জন্য সমাজ নষ্ট হচ্ছে। ছেলেদের সংস্কার দিয়ে বড় করলে তারা মেয়েদের সম্মান করবে।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত তিন মহিলা হলেন সংগঠক গীতা পাণ্ডে, মহিলা আইনজীবী অর্চনা দত্ত ও মহিলা সাংবাদিক জুলি দাস। উত্তরীয় পরিয়ে বরণ এবং উপহার সামগ্রী তুলে দেন গীতা মুখার্জি। নিজের লেখা কবিতার বই উপহার দেন শুক্লা চন্দ। অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা ‘মাকে প্রণাম’ আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী গীতা মুখার্জি। গীতা মুখার্জির পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এল্ডার নিমাই দে।
বরাক উপত্যকা সর্বধর্ম সমন্বয় সভার উপ-সভানেত্রী গীতা মুখার্জি নিজের বক্তব্যে বলেছেন, পরিবার ঠিকঠাকভাবে পরিচালনা করেও নিজেদের কর্মক্ষেত্র এবং সমাজসেবায় জড়িত রয়েছেন অনেক মহিলা। এটা প্রশংসার দাবি রাখে। সবদিক থেকে বিচার করে অনুষ্ঠানে তিনজন শ্রেষ্ঠ মহিলাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।