বরাক তরঙ্গ, ৮ ডিসেম্বর : গোয়ার নাইটক্লাবে মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অসমের তিনজন। এদের দু’জন হচ্ছেন কাছাড় জেলার চা-বাগানের বাসিন্দাপ্রাণ হারাল রাহুল সরকারিভাবে যে ২৫ জন মৃত ব্যক্তির তালিকা তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে রয়েছে কাছাড় জেলার দুইজন সহ অসমের তিন ব্যক্তির নাম।
এরা হলেন দিগন্ত পাতি, মনজিত মাল এবং রাহুল তাঁতী। মনোজিৎ ও রাহুল কাছাড় জেলার শিলকুড়ি গ্রান্ট পঞ্চম খণ্ডের বাসিন্দা। নাইট ক্লাবে কাজ শুরু করার দিনেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারাল রাহুল তাঁতী। অভিশপ্ত সেই নাইট ক্লাবে কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ার দিনই ঘটে এই ভয়ংকর দুর্ঘটনা। ঘটনার ঠিক আগের দিনই কাঁঠাল গ্রান্টের বাড়ি থেকে গোয়ায় কর্মস্থলে রওনা হয়েছিলেন রাহুল। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে বাড়িতে রেখে জীবিকার তাগিদে গোয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই দুর্ঘটনার পরেই রাহুলের পরিবারটির উপর নেমে এসেছে চরম বিপর্যয় ও অন্ধকার।
শিলকুড়ি গ্রান্টের বাসিন্দা মনজিৎ মাল ওই নাইটক্লাবের একজন কর্মচারী ছিলেন। মনজিৎ পাঁচ মাস আগে নাইটক্লাবে কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেছিলেন।
এছাড়া ধেমাজি জেলার মাটি খোলা এলাকার বাসিন্দা দিগন্ত পাতির এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তার বয়স ৩০ বছর এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই নাইট ক্লাবে কাজ করতেন। ছিলেন দিগন্ত এবং তাঁর ভাই। এবার গোয়া থেকে ফিরে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল দিগন্তের। বৃদ্ধা মা ছেলের বিয়ের জন্য আগেভাগেই কাপড়ও কিনে রেখেছিলেন। কিন্তু সেই আশার পূর্ণতা আর কখনও মিলবে না। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দিগন্তের দেহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চিরতরে মায়ের বুক শূন্য করে অজানা দেশে পাড়ি জমালেন দিগন্ত পাতি।


