নেপাল ফের অশান্ত হতেই চিকেনস নেকে বাড়তি নজরদারি, সীমান্তে টহল র‍্যাফ-সিআইএসএফের

২২ নভেম্বর : ফের অশান্ত নেপাল। বৃহস্পতিবার জেনজির সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দলের সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। আর তাতেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রতিবেশী দেশ। ঘটনার জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও চলছে তল্লাশি।

নেপালে অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারে বিভিন্ন অপরাধী চক্র, চোরাকারবারি ও জঙ্গি সংগঠন। শিলিগুড়ি করিডর অর্থাৎ ‘চিকেনস নেক’-এ সমস্যা বাড়তে পারে। ওই আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকা যেমন নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। একইভাবে বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরদারি।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে লস্কর জঙ্গি আবদুল করিম টুন্ডাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতে অন্তত ৪০টি বোমা হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই জঙ্গি। একই বছরে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিন ভাটকলকে গ্রেপ্তার করে নেপাল পুলিশ। ভারতে জালনোট ঢোকাতে পাকিস্তান এই নেপাল রুট ব্যবহার করেছে। একসময় এই রুটে নেপালে ঢুকে আত্মগোপন করেছে কেএলও, আলফা জঙ্গিরা। পাকিস্তানের আইএসআই নেপাল হয়ে ভারতে জঙ্গিদের ঢোকানোর চেষ্টা করছে। সম্প্রতি দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর আশঙ্কা বেড়েছে জঙ্গিরা নেপালে অরাজকতার সুযোগ নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। ওই কারণে চিকেনস নেকের নিরাপত্তা জোরদার করতে বৃহস্পতিবার থেকেই নেপাল সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছে। দার্জিলিং পাহাড়ের সান্দাকফু পর্যন্ত ভারত-নেপাল সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে সিআইএসএফ, র‍্যাফ। পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে সীমান্ত সুরক্ষা বলের (এসএসবি) সঙ্গে টহল দিচ্ছে র‍্যাফ, সিআইএসএফ।
খবর : সংবাদ প্রতিদিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *