করিমগঞ্জের আনাচে-কানাচে রশিদের প্রচার মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও স্যোসাল হারমনির
বরাক তরঙ্গ, ২২ এপ্রিল : করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের কংগ্রেস প্রার্থী বরিষ্ট আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরীর সমর্থনে জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং ফোরাম ফর স্যোসাল হারমনির কর্মকর্তারা।
শনিবার ও রবিবার দুই দিনব্যাপী করিমগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারাভিযান চালিয়েছেন। শনিবার দুপুরে ভাঙাবাজার থেকে মকই ভাঙা হয়ে মর্জাতকান্দি, কামরাঙ্গী, গামারিয়া, রামকৃষ্ণনগর, নতুনবাজার, ছড়ারপার, রাকেশ নগর, মদনমোহন, বৈরভনগর, বছলা বাসাইলে সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক বাজারে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখা সহ প্রচারপত্র বিতরন করা হয়। বেআইনি বাবে বিজেপি সরকার ২৭ লাখের আধার আটকে রেখেছে, ১৯ লাখ এনআরসিছুটদের নাগরিকত্ব ঝুলিয়ে রেখেছে। খসড়া থেকে ৪০ লাখের নাম বাদ পড়ার কারণ ১ মাসের মধ্যে জানানো হয়েছিল এবং ৬ মাসের মধ্যে পুনরাবেদন করেছেন সকলেই। তখন সুপ্রিম কোর্টের তদারকি ছিল, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট কোন তদারকি করছে না। ডবল ইঞ্জিন সরকার ইচ্ছে করে ২৭ লাখের আধার এবং ১৯ লাখের নাগরিকত্ব ঝুলিয়ে রেখেছে, আপিল করতেও দিচ্ছে না, এমনকি বাদ পড়ার কারণ পর্যন্ত জানাচ্ছে না। অতএব বিজেপিকে পরাজিত করতেই হবে।
করিমগঞ্জের বদরপুর এবং হাইলাকান্দির পাঁচগ্রামকে অনৈতিক ভাবে কেটে কাছাড়ে যোগ করেছে হিমন্তের বিজেপি সরকার। ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে চক্রান্ত করে নিয়মবহির্ভুত ভাবে দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র বাতিল করে দেওয়া হয়েছে করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে। করিমগঞ্জ কেন্দ্রের দুই জেলার প্রতি বিজেপির বঞ্চনা এখানেই শেষ নয়। টেট সহ গ্রেড থ্রি-ফোর এর পরীক্ষার কেন্দ্র পর্যন্ত করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি থেকে তুলে নিয়ে কাছাড়ের শিলচর, লক্ষীপুর ইত্যাদি প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে গেছে হিমন্ত বিশ্ব সরকার। এই সকল বঞ্চনার বিরুদ্ধে বর্তমান সাংসদ সহ স্থানীয় বিজেপি দলের বিধায়ক ও নেতারা কোন ধরনের কথা বলেননি। তাই বিজেপিকে পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম কেলেঙ্কারি সংঘটিত করেছে মোদি সরকার, দুর্নীতিকে অসাংবিধানিক ভাবে আইনের রূপ দিয়েছিল যা সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। ওষুধ সহ জিনিষপত্রের দাম বাড়াচ্ছে অত্যধিকভাবে। জনগণের তথা দেশের সম্পদ যেমন রেল, এয়ারপোর্ট, চা-বাগান, কাগজকল, ইত্যাদি বিক্রি ও বন্ধ করে দিচ্ছে। আদানি আম্বানিদের স্বার্থে দেশ চালাচ্ছে এবং সাধারণ মেহনতি মানুষের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। কৃষকের বিরুদ্ধে আইন বানিয়ে কৃষক আন্দোলনের চাপে পড়ে বাতিল করেছে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শ্রমকোড তৈরি করেছে কিন্তু কার্যকর করতে পারে নি দেশজোড়া শ্রমিক আন্দোলনের ফলে। ড্রাইভারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করেছে, এবং আন্দোলনের ফলে স্থগিত রেখেছে বিজেপি সরকার। এমতাবস্থায় বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা সাধারণ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। করিমগঞ্জে যোগ্যতম প্রার্থী অধিকার আন্দোলনের এক সক্রিয় কর্মী আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরীকে হাত চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানানো হয়।
দ্বিতীয়দিন শুধুমাত্র প্রচারপত্র বিতরণ এবং জনসংযোগ করা হয় মুল্লাগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে বারইগ্রাম, ইছাগঞ্জ, রঘুরটুক হয়ে লক্ষিপুর, টিলাবাড়ি, পাথারকান্দি, পয়লামুলি, বুরুঙ্গা, পাথারকান্দি ব্লক বাজার, দোহালিয়া, বাজারঘাট, বিনোদিনী, এরালিগুল, চেরাগিবাজার হয়ে বাটইয়ায় শেষ হয়।
দুই দিনের কার্যসূচিতে শিশির দে, শান্তনু দাস, অনিল দাস, ইসলাম উদ্দিন, মজির উদ্দিন, কমরুল ইসলাম খান সহ মোট ১৬ জন অংশগ্রহণ করেন। অনুরূপ ভাবে, পারভেজ খসরু লস্করের নেতৃত্বে হাইলাকান্দির ইউনিয়নের এবং ফোরামের সদস্যরা প্রচারপত্র বিতরণ ছাড়াও নানা ভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরীর জয় নিশ্চিত করতে। আগামীকাল ও পরশু অনুরূপ ভাবে সক্রিয় প্রচার চলবে। করিমগঞ্জের নিলামবাজার এবং ভাঙাবাজার এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি চলবে।