জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২০ নভেম্বর : অসম ও মিজোরামের সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সৌহার্দ্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে আগামী ২৪ নভেম্বর ধলাইয়ে দিনব্যাপী এক বর্ণাঢ্যসীমান্ত উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ধলাই সমজেলা আয়ুক্তের কার্যালয়ে এক বিস্তারিত প্রস্তুতিমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দুই রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন।
বৈঠকে মিজোরাম সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাইরেংটির এসডিও (সিভিল) এইচ. ভানলালবিয়াকজাউভা এবং মামিটের এসডিও (সদর) লালনুফেলা চাওংথু (এমসিএস)। কাছাড় জেলার পক্ষ থেকে সভাটি সভাপতিত্ব করেন কাছাড়ের জেলা উন্নয়ন আয়ুক্ত নরসিং বে, যিনি দুই প্রশাসনের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ধলাই সমজেলা আয়ুক্ত রক্তিম বরুয়া বিভিন্ন প্রস্তুতির দায়িত্ব সম্মন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী আয়ুক্ত ও খণ্ড উন্নয়ন আধিকারিক (ইনচার্জ), ধলাই-নরসিংহপুর উন্নয়ন খণ্ড, নেইহাট হাওলাই; সহকারী আয়ুক্ত বহ্নিখা চেতিয়া; সোনাই সার্কল অফিসার মারিয়া তানিম, , এবং সহকারী আয়ুক্ত তথা ভারপ্রাপ্ত উপ সঞ্চালক তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় শিলচর দীপা দাস। তাঁরা সম্মিলিতভাবে সাংস্কৃতিক, নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করেন।
উৎসবের দিনে বাম নিত্যানন্দ সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠে কাছাড় ও মিজোরামের দলগুলোর মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং পরবর্তীতে ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যা দুই রাজ্যের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি, ধলাই সমজেলা আয়ুক্তের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সেজে উঠবে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ, যেখানে ভাইরেংটি ও মামিটের শিল্পীগোষ্ঠীর পাশাপাশি কাছাড়ের শিল্পীরাও অংশ নেবেন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারিত এই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও যৌথ সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে। উৎসবে স্থানীয় স্বাদ যোগ করতে এএসআরএলএম-এর উদ্যোগে আঞ্চলিক বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টলও স্থাপন করা হবে, যাতে দর্শনার্থীরা স্থানীয় সুস্বাদু রন্ধনপ্রণালীর আস্বাদন নিতে পারেন। খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও সামাজিক সম্প্রীতির সমন্বয়ে ধলাইয়ের এই দিনব্যাপী সীমান্ত উৎসব অসম-মিজোরাম সীমান্তবাসীর মধ্যে আন্তঃরাজ্য সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে এবং সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের প্রাণচাঞ্চল্যকে উদযাপন করবে।


