সভ্যতা বাঁচিয়ে রাখতে হলে পৌষমেলার প্রয়োজন : কমলাক্ষ

বরাকের গ্রাম শহর মাতিয়ে দিয়ে শেষ হলো পৌষমেলা____

বরাক তরঙ্গ, ১১ জানুয়ারি : বরাকের গ্রাম শহর মাতিয়ে দিয়ে সমাপ্তি হল পৌষমেলা ১৪২৯। বরাকের তিন জেলার অগুণতি মানুষ আনন্দে গা ভাসালেন ৩ দিবসীয় পৌষমেলায়। উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বুধবার রাত ৮ টায় আয়োজক কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে পৌষমেলায় উপস্থিত হন। তিনি বলেন, সভ্যতা বাঁচিয়ে রাখতে হলে পৌষমেলার খুবই প্রয়োজন।তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতে পৌষমেলা আয়োজনের আহ্বান জানান। পরম্পরাগত লোক সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে বেশ জমে উঠেছিল কাটলিছড়ার পৌষমেলা।চালমার্স স্মৃতি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাটে অনুষ্টিত ৩ দিবসীয় পৌষমেলা নবপ্রজন্মের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। হ্যারিটেজ পার্ক, দেয়াল ম্যাগাজিন ‘নাড়ীর টানে’ বেশ সাড়া ফেলেছিল।পৌষমেলায় পীঠাপুলির স্বাদ নিতে স্টলগুলিতে আবাল বৃদ্ধ বনিতার ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। তৃতীয় বারের মত আয়োজন আযোজকদের কাছেও সফল হয়েছে।

পিঠা পুলির প্রদর্শন থেকে শুরু করে, শিল্পকলা চারুকলা, উলুধন্নি, শঙ্খধ্বনি, আলপনা প্রতিযোগিতা, বসে আকো, ডাক বিভাগের বিভিন্ন স্কিম নিয়ে সচেতনতা সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্টির লোকনৃত্য, বই, লিটল ম্যাগাজিন, ফুলের স্টল, শিশুমেলা, কবি সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেশ আকর্ষনীয় করে তুলেছিল জনগনকে। পাশাপাশি মেলার প্রথমদিন রাত্রে পরিবেশিত নাটক “আমার মাথাত তুড়া পানি দেও” মানুষের মনকে দিয়ে যায় এক অনাবিল আনন্দ। বলতে গেলে এ যাবৎ কাটলিছড়ার সব অনুষ্ঠানকে হার মানিয়েছে পৌষমেলা। অভাবনীয় ভাবে সফল হয়েছে পৌষমেলা। মানুষের প্রাণে এতদিন যে সুপ্ত বাসনা ছিল তারই যেন বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। কত যে প্রয়োজন ছিল পৌষমেলার তা অনুভব করতে পেরেছেন আযোজক কমিটি। তবে এবারের কমিটি ও সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মতামত উপর আগামী বছর যাতে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের কাছে যা  দলিল হয়ে থাকবে। কাটলিছড়ার এত বড় ইভেন্ট সফলভাবে শেষ হওয়ার পিছনে সকলেরেই সম্মিলিত অবদান ছিল। রোটারেক্ট ক্লাব,কাটলিছড়া সেন্ট্রাল স্কুল বিনামূল্যে মেলায় আগত  দর্শনার্থীদের চা এবং জল পান করিয়েছেন।

সভ্যতা বাঁচিয়ে রাখতে হলে পৌষমেলার প্রয়োজন : কমলাক্ষ

যারা শুধু মাত্র প্রদর্শনীর জন্য স্টল খুলেছিলেন তাদেরকে ও ধন্যবাদ জানান। ডাকবিভাগ, হাসপাতাল বিভাগকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বিভিন্ন শিল্পীরা যে ভাবে অনুষ্টানের মধ্যে মঞ্চকে মাতিয়ে দিয়েছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়। ধন্যবাদ জানাতে ভুলেন নি সংবাদমাধ্যমকে। সংবাদ কর্মীদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। বিভিন্ন ইভেন্ট সফল করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলেই যেভাবে তৎপর ছিলেন সকলেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। সংগ্রহশালা ও প্রদর্শনীর জন্য যারাই পরিশ্রম করেছেন এবং যারাই  বিভিন্ন জিনিষ দিয়ে সহায়তা করেছেন সকলেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। রাতে ক্যাম্প ফায়ারের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
প্রতিবেদক : এবি লস্কর, লালা।

Author

Spread the News