ধানগাছ বাঁচাতে রেহাই মূল্যে কীটনাশক প্রদান করা হোক

বরাক তরঙ্গ, ১৬ অক্টোবর, সোমবার,
লতি বছরে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার দরুন বরাক উপত্যকার বহু কৃষক ফের ধান চাষ শুরু করেছেন। কিন্তু কৃষি বিভাগের অবহেলার ধরুন কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। উপত্যকার বিঘার পর বিঘা জমিতে চাষ করা ধানের গাছ পোক নষ্ট করে ফেলছে।
সরকার পক্ষ থেকে যদি কীটনাশক দেওয়া না হয় তাহলে সাধারণ গরিব কৃষকরা চরম ক্ষতির মুখে করতে হবে। কেননা বর্তমান কালে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করতে গিয়ে অনেকেই ঋণ করতে হয়েছে। আবার গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র কৃষকরা ধানের উপর বা সুদে টাকা নিয়ে চাষ করেছেন। যদি পোকায় তাদের চাষ করা সমস্ত ধান গাছগুলো নষ্ট করে দেয় তাহলে বিপাকে পড়বেন কৃষকরা।

সাধারণ কৃষকরা পোকার হাত থেকে ধান গাছগুলো রক্ষা করতে কীটনাশক দেওয়া তাদের পক্ষে মোটেই সম্ভব হচ্ছে না। বাজার থেকে কীটনাশক কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই সরকার পক্ষ থেকে রেহাইমূল্যে কীটনাশক কৃষকদের হাতে পৌছালে লাভবান হবেন কৃষক। ইতিমধ্যে বহু কৃষক এ দাবিও তুলেছেন।

পোকার উপদ্রবে উপত্যকার কৃষকদের সঙ্গে বিশেষ করে শ্রীকোনা জিপির হাতিরহাড় গ্রামের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে করছেন। ওই গ্রামের অধিকাংশেরও বেশি চাষ করা জমি পোকায় ধ্বংস করে ফেলছে। সরকার পক্ষ থেকে যথা সময়ে ব্যবস্থা না নিলে আগামী বছর উপত্যকায় চালের অভাব দেখা দিতে পারে পাশাপাশি তার দাম দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ফলে সাধারণ মানুষের হাহাকার সৃষ্টি হবে হতদরিদ্র মানুষ অনাহারে অর্ধাহারেও থাকতে হবে। পাশাপাশি গ্রামের অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়বে। সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কীটনাশক সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী রেহাই মূল্যে প্রদান করা হোক। 

Author

Spread the News