ইরেজ এক্সের ঘ্রাণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের
বরাক তরঙ্গ, ২০ নভেম্বর, সোমবার,
মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ যতই কঠোর হোক না কেন এই অবৈধ ও সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধিই পাচ্ছে। একদিকে পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে পাচার অব্যাহত রাখছে আর অন্যদিকে সেবনের সংখ্যাও বাড়ছে। মদ, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট বা হেরোইন সেবনের পাল্লা দিয়ে বর্তমান সময়ে অন্য নেশাও যুব সমাজ ধ্বংসের পথে এগুচ্ছে। আর প্রবণতা বাড়ছে গ্রাম বা সীমান্ত এলাকায়। উঠতি প্রজন্মের একাংশ ‘ইরেজ এক্স’ এর নেশায় আসক্ত হচ্ছে। যদি অভিভাবকরা সচেতন না হন তাহলে ভবিষ্যতে তারা মদ, গাঁজা, হেরোইন বা নেশা জাতীয় কোন কিছু সেবন করবে না তার কোন নিশ্চিয়তা নেই। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবনের চাহিদাও বাড়তে পারে। তখন সে বাধ্য হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়বে। নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি একটা বয়স পর্যন্ত চোখে চোখে রাখতে হবে। অন্যথায় পরিবারে অশান্তি বা সন্তানের ভবিষ্যতে অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে।
‘ইরেজ এক্স’ প্রাথমিকভাবে কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে অনেকেই ঘ্রাণ নিয়ে থাকে। এরপর আসক্ত হয়ে যায় তারা। আর দামে সস্তা এবং সহজলভ্য হওয়ায় এই নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আবার কেউই সন্দেহ করতে পারে না তারা যে নেশায় আসক্ত। যেকোন নেশা গ্রাস করে নেয় বিবেক, বুদ্ধি ও জীবন। স্বাস্থ্যের জন্য যতটা ক্ষতিকর সমাজের জন্যও ঠিক ততটাই ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ায়।