মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২১ নভেম্বর : অসম–ত্রিপুরা সীমান্তে নেশাজাতীয় সামগ্রী পাচার ক্রমেই নতুন নতুন রূপ নিচ্ছে। পাচারকারীরা অভিনব সব কৌশল অবলম্বন করলেও অসম পুলিশের সতর্ক নজর এবং ধারাবাহিক তৎপরতার ফলে বারবার ভেস্তে যাচ্ছে এই সব দুঃসাহসিক পরিকল্পনা। বুধবার রাতে পাথারকান্দি থানার অভিযানে ২ কুইন্টাল ৫৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার করল বাজারিছড়া থানার চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্ট পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ত্রিপুরা থেকে আসা টিআর–০৮ ই–১৫৩১ নম্বরের মাহেন্দ্রা কোম্পানির চারচাকার একটি মাছ বোঝাই লরি চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টে পৌঁছায়। নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসেবে গেট ইনচার্জ এসআই প্রণব মিলি ও তাঁর সহকর্মীরা গাড়িটিকে আটকে তল্লাশি শুরু করেন। প্রথমে গাড়ির উপরের দিকে শুধুই মাছ ভর্তি কার্টুন দেখা গেলেও সন্দেহ হওয়ায় আরও গভীরভাবে খোঁজাখুঁজি চালান তারা। এরপরই প্রকাশ্যে আসে পাচারকারীদের চতুর ফন্দি।
মাছভর্তি ২২৮টি কার্টুনের প্রতিটির নিচে রাখা ছিল মোটা মোটা প্যাকেটে ভরা শুকনো গাঁজা। মোট ২ কুইন্টাল ৫৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। জব্দ করা গাঁজার কালোবাজারি মূল্য প্রায় এক কোটি ত্রিশ লক্ষ টাকার মতো হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—তল্লাশির সময় সুযোগ বুঝে লরির চালক পালিয়ে অন্ধকারে গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, জব্দকৃত গাড়ির মালিকানা খতিয়ে দেখে দ্রুতই মামলার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে এবং অভিযুক্তদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করার জন্য তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে এসআই প্রণব মিলি বলেন, “নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচারের বিরুদ্ধে পুলিশ সদা সতর্ক। যে কোনো কৌশলই অবলম্বন করুক পাচারকারীরা, আমাদের নজর এড়ানো সম্ভব হবে না।
চুরাইবাড়ি এলাকায় বারবার বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার হওয়ায় সীমান্ত অঞ্চলে নেশা–পাচার রোধে পুলিশের সক্রিয়তা এবং কঠোর অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। স্থানীয়দের মতে, পুলিশের এমন ধারাবাহিক অভিযান নেশা–চক্র ভাঙতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।


