গ্রামাঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক সিগন্যাল, ডিজিটাল যুগে পশ্চাৎপদতার বোঝা

বরাক তরঙ্গ, ১৭ নভেম্বর, সোমবার,
ডিজিটাল ভারতের স্বপ্নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রামাঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক সিগন্যাল। মোবাইল ফোন আজ শুধু কথোপকথনের মাধ্যম নয়—ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, ব্যাঙ্কিং, স্বাস্থ্যসেবা, এমনকি সরকারি পরিষেবাও এখন অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল। অথচ সেই যুগেই বহু গ্রামের মানুষ বাধ্য হচ্ছেন সংকেতহীন জীবনে দিন কাটাতে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএল হোক বা বেসরকারি জিও–এয়ারটেল—ভিআই সব কোম্পানির সিগন্যাল দুর্বল। টাওয়ারের অদূরে গেলেই নেটওয়ার্ক উধাও হয়ে যায়—এ যেন আজকের গ্রামীণ বাস্তবতা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। নেটওয়ার্ক সমস্যায় বাধ্য হয়ে অনেকে সিম বদল করেও কোন লাভ হচ্ছে না। একই সমস্যার সম্মুখীন। বর্তমানে রিচার্জ কলের সঙ্গে ডাটাও যুক্ত। ২৮ দিনের এই প্যাক ন্যুনতম ২৩৯ বা ২৯৯ টাকা। নেটওয়ার্ক সমস্যায় অনেকের বিনা খরচে ডাটার দিন পেরিয়ে যায়।

দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে অনলাইন ক্লাস, ব্যবসার লেনদেন, জরুরি যোগাযোগ—সবকিছু অচল হয়ে পড়ে গ্রামাঞ্চলে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন; ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। “ইন্টারনেট না থাকায় পড়ুয়াদের পড়াশোনায়ও প্রভাব পড়ছে।” আর কল ড্রপ লেগেই থাকে। উঠানে বা রাস্তায় বেরিয়ে ফোনে কথা বলতে হয়। দামি মোবাইল হাতে থাকলেও যেন খেলনায় পরিণত।

ডিজিটাল ভারতের স্বপ্ন তখনই সফল হবে যখন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ একই মানের সেবা পাবেন। নতুন টাওয়ার স্থাপন, পুরোনো অবকাঠামো সংস্কার ও নেটওয়ার্ক বিস্তারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *