বরাক তরঙ্গ, ২ ডিসেম্বর : ধলাই কেন্দ্রের পালংঘাট ব্লক এলাকার রুকনি পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতে দু’টি সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন ধলাইর বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস। মঙ্গলবার শিলান্যাস করা প্রকল্প দু’টি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিক প্রোৎসাহন যোজনা ২০২৪-২৫ (পিএমসিএসপিওয়াই) প্রকল্পের অধীনে রুকনি চাবাগান নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ৩৫.২৮ লক্ষ টাকার মঞ্জুরীকৃত অর্থে স্কুল বিল্ডিং নির্মাণ ও রাখালটিলায় আনটাইড ফান্ড থেকে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ছটপূজা ঘাটের শিলান্যাস।
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কেন্দ্র ও রাজ্যে রয়েছে বলেই ধলাইতে রাস্তাঘাটের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান শিলচরের সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্যের উন্নয়নমূলক কাজের ভূয়শী প্রশংসা করে আগামীদিনে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ধলাইর সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে আমাদের প্রতিনিধিরা রয়েছেন তাদের সঙ্গে নিয়ে জিপির ছোট ছোট যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলি সমাধান করার প্রয়াস থাকবে আমাদের। এদিন বিধায়ক আরও বলেন বর্তমান সরকার চা শ্রমিকদের উন্নয়ন নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। চা শ্রমিকদের জন্য ভূমির পাট্টা প্রদান সহ জমির মালিকানা প্রদানের জন্য বিধানসভায় বিল পাশ করেছে বর্তমান সরকার। চা শ্রমিকদের ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কুল গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে চা বাগান এলাকায় অত্যাধুনিক নাচঘর নির্মাণ, ‘একটি কলি দুটি পাতা’ প্রকল্পের অধীনে চা শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ড. হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা নেতৃত্বাধীন অসম সরকার, মন্তব্য ধলাইর বিধায়ক নীহারের।
এদিনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বিধায়কের সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি পালংঘাট মন্ডল সভাপতি অপূর্ব দাস, জেলা পরিষদ সদস্য মিহিরকান্তি রায়, ধলাই সাংসদ প্রতিনিধি শশাঙ্কচন্দ্র পাল, প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি সোমেন দাস, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য স্বপন দাস, কাছাড় জেলা পরিষদের অ্যাসিস্টেন্ট এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজকুমার রায় ও অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজ্যোতি নাথ, জিপি সভাপতি অনুপ নাথ, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় গোয়ালা, প্রাক্তন আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য দীনেশ রবিদাস, পালংঘাট মণ্ডল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় দেব, কিষান মোর্চার মণ্ডল সভাপতি সুজিত দাস, অন্তু দেব প্রমুখ।


