পরীক্ষার মরসুমে বন্ধ হোক মাইকের চোঙা

বরাক তরঙ্গ, ৬ মার্চ, সোমবার,
শীতের মরসুম শুরু হতেই বেড়ে যায় মাইকের দৌরাত্ম। গান, বনভোজন, কীর্তন, ওয়াজে চলে শব্দের দাপট। থাকে না ডেসিবলের কোন মাত্রা। অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত। এতে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কারও কোন পরোয়া নেই। উচ্চ মাত্রার শব্দে যেমন অসুস্থ বা বয়স্ক লোকের কষ্ট হয় তেমনি স্কুল কলেজের পড়ুয়ারাও যন্ত্রণার শিকার হন। সেক্ষেত্রে বিবেকবান মানুষ বিবেকহীন হয়ে যান। আয়োজক ও বক্তাদের ক্ষেত্রে একই অবস্থা বিরাজ করে।

রাজ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পরীক্ষার মরসুম শুরু হয়েছে। স্কুলের পরীক্ষার পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষাও শুরু হয়। গত ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সারা রাত চলা মাইকের শব্দে সমস্যার মুখে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। পড়ায় মনোনিবেশ তো দূর, ঘুুমেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। কেন না আয়োজকদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় সাউন্ড সিস্টেম। প্যান্ডেল বাদে গাছের ডালে, ভবনের উপরে, বিদ্যুতের খুঁটি লাগছে মাইকে চোঙা। স্পষ্ট শব্দ হতে লাগানো হচ্ছে এলএমবি। আয়োজন স্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধে চলে এই তাণ্ডব। আর আবেগঘন হয়ে বর্তমানে চলা পরীক্ষার কথা বেমালুম ভুলে যায় আয়োজক কমিটি। রাজ্যে চার লক্ষের বেশী পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে রয়েছেন। এরমধ্যে নিশ্চয় আয়োজকদের ছেলেমেয়ে সহ আত্মীয় রয়েছে। কিন্তু তাদের কথা ভাবার প্রয়োজন মনে করে না তারা। এতে তারা এক নির্মম ভুমিকা পালন করেন। তাই পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে বন্ধ হোক গাছের ডালে, ভবনের উপরে, বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো মাইকের চোঙা। ডেসিবলের মাত্রা কমিয়ে ভিতরে চলুক মাইক। এ কাজে জাগ্রত হোক তাদের বিবেক। আর যদি এমন না হয় পুলিশ শব্দদূষণের আওতায় এনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

Author

Spread the News