ডিএসএ-র ‘সমঝোতা এক্সপ্রেসে’ নেই যাত্রী,‌ খুঁটির জোরে পদ পেতে মরিয়া অনেকে

এখনও বাবুলের প্রতিদ্বন্দ্ধী প্রজেক্ট করতে পারেনি বিরোধী লবি___

বরাক তরঙ্গ, ১৯ জুন : বলতে হচ্ছে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় (বি জি এম) এখন আর ‘সমঝোতা’ কাজ করছে না। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা এক্সপ্রেস নামের ট্রেন চালু হওয়ার পর শব্দবন্ধটি খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে। ডিএসএ-র কয়েকটি সাধারণ সভায়। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এই সমঝোতা এক্সপ্রেসে সদস্যরা গাঁটছড়া বাঁধতেন। কিন্তু গত দুটি বি জি এমে অবশ্য এই ফর্মুলা মোটেও কাজ করেনি। এবারেও সে সমঝোতা এক্সপ্রেসে আর যাত্রীরা উঠছেন না। অর্থাৎ কেউ আর গাঁটছড়া বাঁধছেন না। তবে  কোনক্রমে কি একটি চেয়ারে বসা যায়! সে তদ্বির অবশ্যই পরিলক্ষিত। বিশেষ করে নিজেদের লবির মারফতে, লবির শক্ত খুঁটিতে ভর করেই এমন লম্ফঝম্ফ।

শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ অর্থাৎ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কে হবেন সেই জায়গায় ঐক্যমত হতে না পারার ফল স্বরূপ নির্বাচন আবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। আগেকার মতো এবারেও ঠিক সেটাই হচ্ছে। বাবুল হোড়কে সভাপতি পদে দেখতে আগ্রহী নয় একটা বড় অংশ। কিন্তু তাঁর বিকল্প হিসাবে একজন ভালো ক্রীড়া প্রশাসককে প্রজেক্ট করতেও পারছে না বর্তমান সভাপতির বিরোধী লবি। সমস্যার জর্জরিত শিলচর বিধানসভা কেন্দ্রের ব্যস্ত বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীকে সেজন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিধায়ক নিজে সভাপতি হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করার খবর এই প্রতিবেদন পাঠানো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অথচ আগামী ২৫ জুনের নির্বাচনের জন্য প্রচারে নামতে হলে হাতে কিন্তু সময় নেই। এক্ষেত্রে বাবুল হোড় অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। সচিব হওয়ার জন্য অতনু ভট্টাচার্য‌ও বারবার ভোটারদের কাছে হাত পাতছেন। লড়তে হবে সেটা জানেন অতনু। কিন্তু কার বিরুদ্ধে? সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই খুঁজছেন।

এদিকে, শাসক দল বিজেপি যদি বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীকে সামনে রেখে প্যানেল তৈরি করে, তাহলে কিভাবে সেই প্যানেলে ঢোকা যায় তার ফন্দিফিকির করতে করতে অনেকেই ব্যস্ত রয়েছেন। যারা খেলাধুলার সঙ্গে আদৌ জড়িত নন। হয়তো পার্টি করেন, নতুবা বিধায়ক বা বড় কোন‌ও নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তিনি। ডি এস এ-তে একটি পদ পেয়ে গেলে স্ট্যাটাস অনেক উপরে নিয়ে যেতে পারবেন, সেই স্বপ্নেই সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামে কমপ্লেক্সে একটা চেয়ারের মালিকানা পাওয়া চাই। ক্লাবস্তরে ভাল সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রেখে তবেই ডিএসএ-র মতো বড় প্ল্যাটফর্মে আসার কথা। কিন্তু ক্লাবে অশ্বডিম্ব প্রসব করেই অনেকে ডিএসএ-র বড় চেয়ারগুলো বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
যারা সক্রিয়ভাবে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত, তারা অনেকেরই আঙ্গুল চুষছেন। গত বিজিএমে আসতে পারেননি সত্যজিৎ দাস। মাসুম আহমদ, দিলীপ দাসরা গোটা বছর মাঠে পড়ে থাকলেও পদ পাওয়া তো অনেক দূরের কথা, বিজিএমে অংশ নেওয়াও তাদের হয়ে উঠে না।
প্রতিবেদক : ইকবাল লস্কর, শিলচর।

Author

Spread the News