দর্শনার্থী টানতে সাজিশে তোলা হচ্ছে মণ্ডপ চুরাইবাড়িতে
বরাক তরঙ্গ, ২৭ অক্টোবর : ত্রিপুরার প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়িতে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের পুজো রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম ইয়ুথ ক্লাব।প্রায় কুড়ি বছর ধরে তারা শ্যামা মায়ের আরাধনা করে আসছে। এবছর তার কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবার তৈরি হচ্ছে কাল্পনিক প্যান্ডেল ও নবদ্বীপের আলোক শিল্পীদের নিয়ে তাক লাগানো আলোকসজ্জা।
পুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। চলবে তিনদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুজো। তাছাড়াও রয়েছে চুরাইবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ইউনাইটেড ক্লাব। তাঁরাও একটি কাল্পনিক প্যান্ডেল তৈরি করছে, যার উচ্চতা প্রায় সত্তর ফুট। আলোকসজ্জা সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁদের।
এদিকে, পিছিয়ে নেই সেবক সংঘ ক্লাবও। তাঁরাও শ্যামা পুজোয় গুটি গুটি পায়ে পঁচিশ বছর পূর্ণ করেছে।এবছর তাদের প্যান্ডেলের মূল থিম রয়েছে প্রাচীন গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি, যা বিগত দিনে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে তাদের চারদিন ব্যাপী। শ্যামা পুজোর দিনে আরজি কর কাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক র্যালি বের হবে। তাছাড়া সর্বশেষ ফ্রেন্ডস ক্লাবের বড় বাজেটের পুজো রয়েছে অসম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশেই। প্রতিবছরই ক্লাব কর্তৃপক্ষ মন মাতানো আলোকসজ্জা,প্যান্ডেল ও স্থানীয় এবং বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে মন মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দর্শনার্থীদের উপহার দিয়ে থাকেন। এবারের তাদের থিম কেরলের একটি ফেস্টিভ্যাল অনাম। ক্লাব কর্তৃপক্ষ দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ সহ দূরপাল্লার লরি চালকদের মধ্যে জল, মিষ্টি ও ফল বিতরণ করে থাকেন।
চুরাইবাড়ির, কদমতলা সহ বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীদের প্যান্ডেলে টানতে মরিয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সর্বোপরি চুরাইবাড়ি আরক্ষা দপ্তর উত্তর জেলার মধ্যে তাক লাগানো পূজোর আয়োজন করে থাকে। আলোকসজ্জা সহ দু’দিনব্যাপী স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শীতবস্ত্র বিতরণ সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান করে থাকে আরক্ষা দপ্তর। সব মিলিয়ে উত্তর জেলার মধ্যে ধর্মনগর শহরকে টেক্কা দিতে একেবারে প্রস্তুত চুরাইবাড়ির বিভিন্ন ক্লাব ও পূজা উদ্যোক্তারা।