বরাক তরঙ্গ, ২৯ ডিসেম্বর, সোমবার,
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজি বর্ষই আজ সময় গণনার প্রধান মাপকাঠি। বিয়ে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ব্যতীত প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমরা খ্রিস্টাব্দকে সামনে রেখে হিসেব-নিকেশ ও পরিকল্পনা করে থাকি। অফিসের কাজ, শিক্ষাবর্ষ, অর্থনীতি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত লক্ষ্য—সবকিছুই যেন ইংরেজি ক্যালেন্ডারের হিসেবে। সেই ধারাবাহিকতায় আরও একটি বছর নীরবে বিদায় নিল আমাদের জীবন থেকে।
একটি বছর চলে যাওয়া মানে কেবল ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে যাওয়া নয়; এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, আশা-হতাশার অসংখ্য স্মৃতি। গত বছরে অনেকেই পেয়েছেন সাফল্য, আবার অনেকেই লড়াই করেছেন কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে। কেউ হারিয়েছেন প্রিয়জন, কেউবা নতুন করে জীবন গড়ার সাহস সঞ্চয় করেছেন। সময়ের এই যাত্রাপথে প্রতিটি বছর আমাদের শেখায়—ধৈর্য, সহনশীলতা ও সামনে এগিয়ে চলার মূল্যবান পাঠ।
নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মুহূর্তে শুধু গান-বাজনা, পার্টি, আতসবাজি ফোটানো নয়, প্রয়োজন আত্মসমালোচনা ও আত্মসংযমও। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, দুঃখ-কষ্টকে পেছনে ফেলে নতুন আশায় পথচলা শুরু করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। ব্যক্তিগত জীবন থেকে সমাজ ও রাষ্ট্র—সব স্তরেই মানবিকতা, সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিতে হবে।
নতুন বছর আসুক নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা আর শান্তির বার্তা নিয়ে। অতীতের ভার নামিয়ে রেখে, আগামীর পথে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে চলাই হোক আমাদের সবার একান্ত


