রাস্তাজুড়ে পুজোমণ্ডম, সামাজিক মাধ্যমে চর্চা আগামীদিনের বার্তা হোক
বরাক তরঙ্গ, ৪ নভেম্বর, সোমবার,
দীপাবলির রাতে শহরে একের এক অগ্নিকাণ্ডের পর রাস্তাজুড়ে পুজোমণ্ডম তৈরির ইস্যুকে ঘিরে সরগরম হয় সোশ্যাল মিডিয়া। এই চর্চা কোন পূজা কমিটির সমালোচনা নয়, আগামী দিনের একটি বার্তা হিসেবে বহন করবে। কেননা বর্তমান সময়ে রাস্তাজুড়ে মণ্ডপ তৈরি কতটুকু দুর্ভোগের মুখে পড়তে তা ইতিমধ্যে অনেকে বুঝতে পেরেছেন। যারফলে সামাজিক মাধ্যমে মুখ খুলেছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় রাস্তাজুড়ে মণ্ডপ তৈরি হয়। সেটা আজ থেকে নয় বহু বছর ধরে এভাবে চলছে। কোন কোন মণ্ডপের বয়স একশো বছর বা পঞ্চাশ বছর। এতে বলার কিছুই নেই। কিন্তু আজ থেকে কুড়ি বছর আগের শিলচর শহরের সঙ্গে বর্তমানের সময়ে অনেক ফারাক রয়েছে। জনসংখ্যা থেকে শুরু করে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, সবকিছুতেই একটি বিশাল পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। তা অস্বীকার করা যাবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাস্তাজুড়ে মণ্ডপ কোনও ভাবে বিবেক অনুমতি দিতে পারে না।
আমরা দেখেছি জানিগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডস্থলে দমকল ইঞ্জিন পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কেননা, তিনটি রাস্তার মুখে মণ্ডপ থাকায় ওয়াটার ওয়ার্কস রোড ঘুরে গোয়ালাপট্টিতে পৌঁছতে হয়েছে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে। এর আগেই সব ছাই হয়ে যায়। এরপরই রাস্তাজুড়ে এসব মণ্ডপ তৈরির আগে কি প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল, আর নেওয়া হলেও কিভাবেই বা দেওয়া হলো তা, সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন।
বরাকের প্রথমসারির সাংবাদিক তথা লেখক বিভূতিভূষণ গোস্বামী শহরের তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘ম্যান মেড’ বলে উল্লেখ করেন। কোনও প্রমিথিউস এই আগুন নিয়ে আসেননি। আমাদেরই একাংশের কাণ্ডজ্ঞানহীনতা এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী এও উল্লেখ করেন।
আরেক সিনিয়র সাংবাদিক উত্তমকুমার সী ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানিগঞ্জের ঘটনা নিয়ে পোস্ট করে বলেন, “রাস্তা বন্ধ করে মণ্ডপ তৈরি কতটা মারাত্মক? দমকলের ইঞ্জিন সময়মত পৌঁছলে আজ কোটি টাকার ক্ষতি হত না।” তাঁদের এই প্রতিবাদ যেন আগামী দিনের বার্তা হোক।