১৬ নভেম্বর : বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি (RJD)-র ভরাডুবির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই লালু প্রসাদ যাদবের পরিবার ও দলে চরম অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে এল। লালু-কন্যা রোহিণী আচার্য (Rohini Acharya) রাজনীতি ছাড়ার এবং নিজের পরিবারকে ‘অস্বীকার’ করার বিস্ফোরক ঘোষণা করার পর শনিবার পাটনা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে আরও একবার দৃঢ়ভাবে বলেন, “আমার কোনও পরিবার নেই”।
এই মন্তব্য দলের অভ্যন্তরে গভীর ফাটলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। রোহিণী আচার্যের অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সঞ্জয় যাদব এবং দলের আর এক নেতা রামিজ। রোহিণী দাবি করেছেন, এই দুই নেতাই তাঁকে পরিবার ও দল থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছিলেন।
রোহিণী আচার্য দাবি করেন, সঞ্জয় যাদব, রমজ এবং তেজস্বী যাদব সম্মিলিতভাবে তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি সাজিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে পরিবার থেকে “বহিষ্কার” করা হয়েছে। রোহিণীর মতে, দলের মধ্যে এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে যেখানে কেউ এই অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীর (সঞ্জয় যাদব ও রামিজ) বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেই তাঁকে গালিগালাজ, অপবাদ এবং জুতোপেটা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
তিনি সঞ্জয় যাদবকে কটাক্ষ করে “চাণক্য” বলেও উল্লেখ করেন এবং জানান, নির্বাচনের এই ভরাডুবির জন্য দলের কর্মীরা যখন জবাব চাইছেন, তখনও সঞ্জয় যাদবকে জবাবদিহিতার বাইরে রাখা হচ্ছে। তাঁর মতে, সঞ্জয় যাদবের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা এবং ভেতরের মহলের আধিপত্য দলের মধ্যে এক ভয় ও অস্বচ্ছতার বাতাবরণ তৈরি করেছে, যা নেতৃত্ব ও সাধারণ কর্মীর মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে তুলছে।
শনিবার দুপুরে এক্স-এ একটি পোস্টে রোহিণী আচার্য রাজনীতি ছাড়ার এবং পরিবারকে অস্বীকার করার বোমা ফাটান। তিনি লেখেন, “আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি, এবং আমার পরিবারকেও অস্বীকার করছি। সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন, আর এর সমস্ত দায়ভার আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।


