ঘরে ঘরে মাছ, ঘরে ঘরে সমৃদ্ধি, রাজ্যের মৎস্য ক্ষেত্রের নতুন দিগন্ত : কৃষ্ণেন্দু পাল
আত্মনির্ভর অসমের পথে দৃঢ় পদক্ষেপ: রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৬ মে : অসমের মৎস্যখাতে আত্মনির্ভরতার নতুন দিগন্ত সম্ভাবনা, প্রযুক্তি ও নীতিনির্ধারণের এক বিস্তৃত মঞ্চ হয়ে উঠেছে ‘আসাম মৎস্য ক্ষেত্র উন্নয়ন সম্মেলন’। অসমের রাজভবনের উদ্যোগে এবং অসম মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘অসম মৎস্য ক্ষেত্র উন্নয়ন সম্মিলন’-এর দ্বিতীয় দিনের সমাপন অনুষ্ঠান গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে মধ্যে দিয়ে আজ মঙ্গলবার রাজ্যের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নেওয়ার এক ঐতিহাসিক উদ্যোগে রূপ নিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ, বাজার সম্প্রসারণ এবং পরিবারভিত্তিক মাছচাষের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনটি ছিল মতবিনিময়, দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণার এক সফল সংমিশ্রণ।মঙ্গলবার গুয়াহাটিত রাজভবন ও মৎস্য বিভাগের উদ্যগ অনুষ্ঠিত হলো আসাম মৎস্য ক্ষেত্র উন্নয়ন সম্মেলন এর দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রমের সফল সমাপ্তি। অসম রাজ্যের মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য, বিভাগীয় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল, মৎস্য বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মৎস্য চাষিরা।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের সমাপ্তি বক্তব্যে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল রাজভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই অনুষ্ঠান সার্থকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, এই সম্মেলনে আমাদের বিশ্বস্ত বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ ও দিকনির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জির স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে। আসামের মৎস্য খাতকে আত্মনির্ভর ভারতের এক দৃঢ় স্তম্ভে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।

মন্ত্রী আরও জানান, ‘ঘৰে ঘৰে পুখুর, ঘৰে ঘৰে মাছ’ এই উদ্যোগ আসামের প্রতিটি পরিবারকে মাছচাষে উদ্বুদ্ধ করবে এবং অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

রাজ্যপাল লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই সম্মেলনে আলোচিত তথ্য ও প্রস্তাবনাগুলো স্বনির্ভর ভারত-স্বনির্ভর আসাম এর স্বপ্নকে আরও মজবুত ভিত্তি প্রদান করবে। অসমের প্রতিটি ঘরে পুকুর ও মাছচাষের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।তিনি আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যা রাজ্যের কৃষক ও মৎস্যজীবীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তব্যায় মৎস্য খাতের উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এই সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও পরামর্শ ‘স্বনির্ভর ভারত – স্বনির্ভর আসাম’ এর ভিশনকে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আসামের প্রতিটি বাড়িতে পুকুর ও মাছ চাষের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজ্যের কৃষক ও মৎস্য চাষিদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।

পরিশেষে, মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল আবারও রাজভবনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা আসামের মৎস্য খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।