বেকিরপারে খমপাল জনপদ সংস্কৃত সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বরাক তরঙ্গ, ১৯ জানুয়ারি : বেকিরপার রুক্মিণী নগর রুরাল টাউনশিপে এক দিবসীয় প্রাচীন খমপাল জনপদ সংস্কৃত সম্মেলন এবং সামাজিক সম্পর্ক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ ও শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিণী কলাক্ষেত্রের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বৈদিক মন্ত্রের সঙ্গে ভূমি পূজনের মাধ্যমে ৷ সম্মেলনে সংস্কৃত ভারতী ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের পক্ষ থেকে সংস্কৃত বিজ্ঞান প্রদর্শনী সবার মন কাড়ে।
সম্মেলনে মুখ্য বক্তা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপিকা স্নিগ্ধা দাস রায় তাঁর ভাষনে নবীন রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতির অন্তর্গত পাঠ্যক্রমে সামাজিক-সম্পর্ক-কার্যক্রমের বিশেষত্ব বিশদভাবে তুলে ধরেন৷ বিশিষ্ট বক্তা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শান্তি পোখরেল এবং ডঃ গোবিন্দ শর্মা নিজেদের বক্তব্যে বলেন, সংস্কৃত শুধু মন্ত্রেই যে সীমাবদ্ধ নয়, এতে সাহিত্য, বিজ্ঞান, তন্ত্র এবং অন্যান্য বিষয়ও বিদ্যমান। ড. গোবিন্দ শর্মা নিজের বক্তব্যে সংস্কৃতে বৈজ্ঞানিক তথ্যের বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রেরণা ভারতীর সম্পাদক দিলীপ কুমার। তিনি নিজের ভাষনে তুলে ধরেন সংস্কৃত ভাষা অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা ও এর প্রাচীন ঐতিহ্য। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিন্দি সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক অনন্তলাল কুর্মি, শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিণী কলাক্ষেত্রের প্রধান বিধান সিনহা সহ অন্যান্য। সামাজিক-সম্পর্ক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা৷ উল্লেখ্য, শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিণী কলাক্ষেত্র ‘এসকেআরকে মিশন অ্যান্ড ভিশন’ এর অধীনে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের প্রসারের জন্য কাজ করছে।
প্রতিবেদন : পিএনসি, শিলচর।