জলমিত্রদের ধর্মঘটে মিলছে না জল, হাহাকার
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৭ ফেব্রুয়ারি : পাথারকান্দিতে পানীয়জল পরিষেবা বন্ধ রেখে জলমিত্রদের ধর্মঘটে জলের জন্য তীব্র হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। সারা আসাম পিএইচই অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে অস্থায়ী জলমিত্র কর্মচারীদের তিন দফা দাবি মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে সমস্ত রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘটের আঁচ পড়ল পাথারকান্দিতে। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে পাথারকান্দি জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগের অধীন ২নং পানীয় জলের প্ল্যান্টের পুরাতন কালীবাড়ি সংলগ্নে থাকা প্ল্যান্টের সামনে বেশকিছু অস্থায়ী কর্মচারীরা তিন দফা দাবি সম্মিলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। বিগত ২০০৪ সাল থেকে নুন্যতম পারিতোষিক নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সরকারি কাজ করে যাচ্ছেন বলে ধর্মঘটকারীরা জানান।
সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও আজ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি পালন না করায় বাধ্য হয়ে তারা কর্মবিরতি পালন করে অবস্থান ধর্মঘটের পথে পা বাড়িয়েছেন বলে তারা জানান। অভিযোগ মতে, বিগত দিনে সরকার সংশ্লিষ্ট গাঁও পঞ্চায়েত মারফৎ তাঁদেরকে মাসিক সাড়ে ছয় হাজার টাকা দেবার ঘোষণা করলেও একাংশ পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সহ জিপি সচিবদের অভদ্র আচরণে তাদেরকে নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, অবিলম্বে তাদের এই তিন দফা দাবি যদি শীঘ্রই পূরণ করা না হয় তাহলে আগামীদিনে দীর্ঘমেয়াদি গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবেন। অবস্থান ধর্মঘটে অস্থায়ী অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজু সিনহা, রঞ্জন সিনহা, সৌমেন সিনহা, কার্তিক পাল, লক্ষণজ্যোতি সিনহা, কার্তিক দাস, বিপুল সিনহা, বাসু দাস, মঙ্গল সিনহা, হিমাংশু দাস, অর্পণ কান্তি সিনহা, অমনজ্যোতি সিনহা প্রমুখ।
এদিকে টানা গত দু’দিন থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটে বৃহত্তর পাথারকান্দির বেশক’টি পানীয় জলের প্ল্যান্টে নিয়মিত পানীয়জল পরিষেবা বন্ধ থাকায় তীব্র জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ মতে, শুকনোর মরশুমে এমনিতেই জলের অভাব তারমধ্যে বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় শহর এলাকায় জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে। আর দু’দিন এভাবে চলতে থাকলে জনমনে এই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।