জগাইবাড়ি মাদ্রাসার প্রথম বার্ষিক দ্বীনি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বরাক তরঙ্গ, ১০ নভেম্বর : ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার প্রমোদনগর আলজামিয়াতুল ইসলামিয়াতুল জলিলিয়া জগাইবাড়ি মাদ্রাসার অনুষ্ঠিত প্রথম বার্ষিক দ্বীনি সমাবেশ সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকেল চারটায় কোরান পাঠের মাধ্যমে সমাবেশের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপূর্ব ভারতের আমিরে শরিয়ত মওলানা ইউসুফ আলি। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন পৃথিবীতে ১০৪ টি ‘আসমানি কিতাব’ এসেছে। আল্লাহর প্রদত্ত ১০৪ খানা কিতাবের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট কিতাব হচ্ছে আল কোরান। ১০৩ টি কিতাব পৃথিবী থেকে বিলুপ্তি হয়েছে। যদিও দুয়েকটি থাকতে পারে তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সরূপ আছে। কিন্তু সর্বশ্রেষ্ট সর্ব শেষ কিতাব কোরান শরিফ যেভাবে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিল আজও সেই ভাবে অক্ষত অবস্থায় আছে এবং কিয়ামত অবধি থাকবে। তিনি আরও বলেন, নবীর জীবনের প্রত্যেকটি আদর্শ উম্মতের জন্য নমুনা স্বরূপ। আল্লাহর নবী কোরানের হেফাজতের জন্য সর্বপ্রথম দারে আরকম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই কোরান শরিফ হেফাজতের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উম্মতে মোহাম্মদিরা এগিয়ে আসতে হবে।
সমাবেশে ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড০ মওলানা জহিরুল হক বলেন, বিশ্ব নবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) মানুষকে সু-পথ দেখানোর জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন। হিংসা, বিদ্বেষ নয়। ভালোবাসার মাধ্যমে মানুষের অন্তর জয় করা যায়। আমরা সবাই এক।তাই হিংসা, বিদ্বেষ, খুন, হানাহানি ইত্যাদি পরিত্যাগ করে সবাই মিলে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। উত্তরপূর্ব ভারতের নাইবে আমিরে শরিয়ত মওলানা বদরুল হক এমনি-কোরান হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে গোটা মুসলিম জাতিকে আল্লাহর নির্দেশনা মেনে দৈনন্দিন জীবনযাপনের আহ্বান জানান।
এদিনের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিদের বরণ করা হয়। গোটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আলজামিয়ার মুহতমিম মওলানা জাকির হোসাইন আলজলিলি। সহযোগিতায় ছিলেন করিমগঞ্জে কাঁঠালতলির দারুস সাকাফাতিল ইসলামিয়ার পরিচালক মওলানা রিয়াজুদ্দিন আলজলিলি। এদিনের সমাবেশে মাদ্রাসার বার্ষিক মুখপত্র জামিয়া দর্পণের আনুষ্ঠানিক ভাবে মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মওলানা মুফিজুল ইসলাম,৷ মওলানা সিদ্দিকুর রহমান, ত্রিপুরা রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার, ধর্মনগরের মওলানা হাবিবুল্লাহ, সাংবাদিক মুজির উদ্দিন, সমাজসেবী রামানন্দ দেববর্মা, শান্তি দেববর্মা, পহর দেববর্মা প্রমুখ।