বরাক তরঙ্গ, ২৩ নভেম্বর : ‘উত্তর-পূর্ব থেকে শুরু হয়ে দেশজুড়ে টেকসই উন্নয়ন এক পারিবারিক সংলাপে পরিণত হোক’ – এই আহ্বান জানিয়ে শনিবার শেষ হল ‘নর্থ ইস্ট ইন্টারন্যাশনাল সাস্টেইনেবল সামিট -২০০৫’। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত দুদিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক সাম্য, উদ্ভাবন ও সমগ্র অঞ্চলের সর্বাঙ্গীন অগ্রগতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়। গবেষক, অধ্যাপকরা ছাড়াও এতে অংশ নেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ সহ নীতি-নির্ধারকরা।
সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষকরা অংশ নেন। এছাড়াও মুম্বাইর টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব তামিলনাড়ু, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সাউথ বিহার, সিকিম ইউনিভার্সিটি, সিকিম মণিপাল ইউনিভার্সিটি, ইউএসটিএম, ডাউনটাউন ইউনিভার্সিটি, ডনবস্কো ইউনিভার্সিটি, আসাম রয়্যাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি, তুরা ক্রিশ্চিয়ান কলেজ, পশ্চিমবঙ্গের মালদা ডিগ্রি কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। বহু আন্তর্জাতিক গবেষক সম্মেলনে অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সমৃদ্ধ করেন।
সম্মেলনে নির্বাচিত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মোট আটটি বিদ্যায়তনিক অধিবেশন আয়োজিত হয়। এই অধিবেশনে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, তারমধ্যে ছিল সামাজিক বৈষম্য ও ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও আদি জ্ঞান, নারী ও যুব উন্নয়ন, টেকসই উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু সহনশীলতা, জলাভূমি ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য, হস্ততাঁত–হস্তশিল্প ও টেকসই জীবিকা, সাংস্কৃতিক মনোবিজ্ঞান ও উদ্যোগ, অবকাঠামো, সংযোগ ও আঞ্চলিক স্থিতি ইত্যাদি।

সম্মেলনের কনভেনার ড. লালজো এস থাংজম ও কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপিকা এম তিনেশ্বরী দেবী সব সহযোগী প্রতিষ্ঠান, অংশগ্রহণকারী এবং পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উপাচার্য অধ্যাপক রাজীব মোহন পন্থের দূরদৃষ্টিমূলক নির্দেশনায় আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে সফল করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় উত্তর-পূর্বাঞ্চল পরিষদ ও ডোনার মন্ত্রক। এনইসির কর্মকর্তা এল এস গাঙতে, বামিন তারাং ও সতীন্দ্র কুমার ভল্লা সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। পাশাপাশি ড. অরূপ কুমার মিশ্রের নেতৃত্বে আসাম দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান।


