হাইলাকান্দিতে হনুমান মন্দিরে চুরি, ভাঙচুর, উত্তেজনা, আটক সাত
বরাক তরঙ্গ, ১৩ জানুয়ারি : হাইলাকান্দি স্টেশন রোডে থাকা হনুমান মন্দিরের প্রাণামী বাক্স থেকে নগদ অর্থ চুরি ও মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাতে এ জঘন্য ঘটনাটি ঘটলে শনিবার সকালে উত্তেজনা দেখা দেয় শহরে। প্রতিবাদে সরব হয় হিন্দু সংগঠনগুলো। এ চুরিকাণ্ডের মূল হোতাকে গ্রেফতার না করলে বনধের হুমকি দেন সংগঠনগুলোর নেতারা।
জানা যায়, মন্দিরের পুরহিত রঞ্জন চৌবে শনিবার সকালে উঠে দেখেন মন্দিরের সদর দরজার গ্রিলে থাকা তালা ভাঙা। ভেতরে গিয়ে তার চক্ষু কপালে উঠে। মন্দিরে হনুমানের মুর্তিতে থাকা কোনো অলঙ্কার নেই। সঙ্গে দান পাত্রও ভাঙা। মন্দিরে থাকা হনুমানের দুটি ধাতুর মুর্তিও নেই। মন্দিরে থাকা রাম সীতার মুর্তিও লণ্ডভণ্ড। তিনি ঘরে ছুটে গিয়ে দেখেন তার ঘরে থাকা টাকার বাক্স ভাঙা। পাশাপাশি তার মোবাইল ফোন পর্যন্ত নিয়ে গেছে চুরের দল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের খবর পাঠান। তারা কিছু সময়ের মধ্যেই মন্দিরে এসে পৌছান। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বৃহৎ পুলিশ বাহিনী নিয়ে মন্দিরে এসে পৌছান হাইলাকান্দির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমির দাপ্তর বড়ুয়া।
এ দিন পুলিশ তদন্তে নেমে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করে হনুমানজির দু’টি ছোট মূর্তি, প্রদীপ স্ট্যান্ড, দুটি মোবাইল। গ্রেফতার করা অভিযুক্তরা হল রাজু বৈষ্ণব, চন্দন পাল, ফটিক মজুমদার, রাজু বড়ভূইয়া, তাজ উদ্দিন বড়ভূইয়া, আব্দুল্লাহ আলমামুন বড়ভূইয়া ও সামসুল হক লস্কর। অভিযুক্ত রাজু বৈষ্ণবকে মাদকাসক্ত অবস্থায় ধরা হয়।
তাদের দখল থেকে দুটি মোবাইল হ্যান্ডসেট ও কয়েকটি কয়েন উদ্ধার করা হয়েছে। হাইলাকান্দি পুলিশ সি/ নং ১৩/২৪ ইউ/এস ৪৫৭/৩৮০ আইপিসি তে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুরি যাওয়া বাকি জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সকল অভিযুক্ত ব্যক্তি অভ্যাসগত অপরাধী এবং তাদের আগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।