বরাক তরঙ্গ, ৯ ডিসেম্বর : প্রথমবারের মতো বরাক উপত্যকার তারাপুর অসমিয়াবস্তিতে রাস মহোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। নগাঁও জেলা থেকে আমন্ত্রিত প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষিত স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় আগামী ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর, সোমবার ও মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপনের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সবার উপস্থিতি ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি যুগলচন্দ্র দেব গোস্বামী, (সত্ৰাধিকার, জখলাবন্ধা সত্ৰ), কার্যকরী সভানেত্রী অনিমা চুতিয়া, বুলি হাজরিকা, সাধারণ সম্পাদিকা রেখারানি বরুয়া চুতিয়া, সহকারী সম্পাদিকা সঙ্গীতা রয় ও রিজুমণি চুতিয়া।
১৫ ডিসেম্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হবে। উৎসবের শেষদিনে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী কৌশিক রায়। দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় প্রত্যেক গৃহস্থের বাড়িতে কলাগাছ রোপণ, ঘট স্থাপন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সন্ধ্যা ৬টায় পথকীর্তন ও প্রসাদ বিতরণ।
পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ঊষা কীর্তন, ৭-৩০টায় ধর্মধ্বজা উত্তোলন। উত্তোলন করবেন ঈশ্বর চন্দ্র মহন্ত (সম্পাদক, প্রাগজ্যোতিষ পত্রিকা)। সকাল ৮টায় স্মৃতি তর্পণ, এতে মুখ্য তর্পণকারী সমাজকর্মী প্রীতিষকান্তি হাজরিকা। সাড়ে আটটায় অক্ষয় বস্তি দানপাত্র উন্মোচন। উন্মোচক হলেন অরুণজ্যোতি দাস (শিলচর সার্কল অফিসার)। সকাল ৯টায় শহিদ বেদিতে প্রদীপ প্রজ্বলন করবেন ডাঃ প্রভাসচন্দ্র শর্মা। এরপর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। এতে অংশ নিবেন যুগলচন্দ্র দেব গোস্বামী (সত্ৰাধিকার, জখলাবন্ধা সত্ৰ), সকাল সাড়ে দশটায় কীর্তনপাঠ (রাসখণ্ড), মুখ্য পাঠক দেহিরাম শর্মা (জখলাবন্ধা সত্ৰ), খোল বাদন ও নাম প্রসঙ্গ করবেন নামাচার্য কলিয়া বরা। দুপুর ১২-৩০ মিনিটে প্রসাদ ও ভোগ বিতরণ, ভোগদাতা হল শ্রীশ্রী কৃষ্ণ রাস মহোৎসব সমিতি। বিকেল ৪টায় ১০০ গজ প্রদীপ প্রজ্বলন, উপস্থিত থাকবেন পার্থপ্রতিম দাস (সিনিয়র পুলিশসুপার, কাছাড়), বিকেল ৫টায় পথকীর্তন।
সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় শ্রীশ্রী কৃষ্ণ মহারাসের অখণ্ড প্রদীপ প্রজ্বলন। বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী প্রদীপ প্রজ্বলন করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় শ্রীশ্রী কৃষ্ণ রাসযাত্রার উদ্বোধন হবে। উদ্বোধক রূপে থাকবেন মন্ত্রী কৌশিক রায়। সন্ধ্যা ৭টায় পরিচালক কলিয়া বরা ও সঙ্গীবৃন্দের শ্রীশ্রী কৃষ্ণ রাসযাত্রা শুরু হবে।


