অবশেষে জমি ফিরে পেলেন মহিলারা, কৃতজ্ঞতা মুখ্যমন্ত্রী সহ বিধায়ক ও পুলিশ সুপারকে
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৭ জুলাই : ২০১৯ সাল থেকে শিলচর কনকপুর রোডের পল্লীশ্রী লেনের চলে আসা জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। অবশেষে শিলচর কনকপুর রোডের পল্লীশ্রী লেনের চুমকিরানি দাস ও নিয়তি দাস জমি ফিরিয়ে পপলেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক ডেকে তাঁরা জানান, দেড়কাটা করে দুই জনের তিন কাটা জমিকে কিছু সংখ্যক দালাল ভূয়া দলিলের ভিত্তিতে অন্যজনকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বিষয়টি অসহায় চুমকিরানি দাস বিশ্বাস প্রথমে স্থানীয় প্রতিনিধি সহ প্রশাসনিক অধিকর্তাদের বিষয়টি একধিক বার তুলে ধরেন, কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থা কেউ করতে পারেন নাই। পরবর্তী সময়ে নিরুপায় হয়ে গত মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সফরকালে চুমকি দাস বিশ্বাস গিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে, সঙ্গে-সঙ্গে তিনি বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সহ কাছাড়ের পুলিশ সুপারকে ডেকে বিষয়টির মীমাংসার করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান এবং সেই মূখ্যমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী শিলচরের পুলিশ সুপার নিজে পরের দিন রাঙ্গিরখাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ সেই পল্লীশ্রী লেনের জায়গাটি পরিদর্শন করেন ও পরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে যান।
চুমকিরানি দাস বিশ্বাস ও নিয়তি দাসের সুদীর্ঘ সংগ্ৰাম, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও কাছাড় জেলা পুলিশ সুপারের সাহায্যে মঙ্গলবার সরকারিভাবে দুইজনেই ন্যায্য জমি ফিরে পান। এই কনকপুর রোডের পল্লীশ্রী লেনের ৩ কাটা জমিটি ফিরে পাওয়াতে সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে বিশেষভাবে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা , বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, কাছাড়ের পুলিশ সুপার সহ রাঙ্গিরখাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির প্রত্যেকজনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের জমি দালাল সহ তাদের সঙ্গে জড়িত শিলচর সেটেলমেন্ট অফিসের কিছু সংখ্যক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। উপস্থিত কাছাড় জেলা যুব মোর্চার উপ সভাপতি রঞ্জিত রায়, সঞ্জীত রায়, সন্দীপ ঘোষ, রিপন পাল, পারভেজ লস্কর, অভিজিৎ দাস, পিনাক রায়, সঞ্জিৎ রায় সহ অন্যান্যরা।