পিএমশ্রী জামিরা হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্ষেত্র পর্যবেক্ষন

বরাক তরঙ্গ, ২৭ জানুয়ারি : পিএমশ্রী বিদ্যালয়ের নিয়মিত কর্মসূচীর অধীনে পিএমশ্রী জামিরা হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক ক্ষেত্র পর্যবেক্ষন অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের মোট ২৪২ জন ছাত্রছাত্রীদের মোট আটটি গ্রুপে ভাগ করে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এই প্রকল্প অনুষ্ঠান। মণিপুর বাগানে অবস্থিত ‘গোদরেজ পাম ট্রি এগ্রোভেট’ নামের নার্সারি তথা কৃষি ইউনিট ভ্রমণ ছিল আজকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি উদ্যোগ। ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও বিশেষ কৃষি গবেষক মহেশ আদাপা শিশুদের কীভসবে পাম গাছের বীজ বপন করতে হয় তা দেখিয়ে দেন।তিনি কীভাবে চারা লাগানো হয়, এর উপযোগী মাটি তৈরি করা হয় ও পাম গাছের চারার পরিচর্যা করা হয় তার সবিষদ বিবরণ তোলে ধরার পাশাপাশি মাঠে নিয়ে গিয়ে তা হাতেনাতে দেখিয়ে দেন।

শিক্ষার্থীরাও হাতেকলমে প্রশিক্ষন পেয়ে বেজায় খুশি।তাদের অনেক প্রশ্নের জবাব দেন অত্যন্ত ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সংগে মহেশ আদাপা।তিনি বর্ণনা করেন, গাছ রোপন ও ফসল তোলা থেকে শুরু করে এর প্রোডাক্ট  তৈরি প্রক্রিয়া। তিনি জানান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে গোদরেজ এগ্রোভেট। এটি বাস্তবায়িত হলে অত্যন্ত লাভান্বিত হবেন কৃষকগণ। কারণ রোপনের মাত্র তিন বছরের ভিতর পাম গাছে যে ফল আসবে তা শুধু খাদ্য ও প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হবে না।বরং এটি যানবাহন ও কলকারখানার ইন্ধন হিসেবেও জনপ্রিয়তার সাথে ব্যবিহৃত হবে।থাইল্যান্ড এর এই ভেরাইটি ফলনে খুবই অগ্রগামী বলে মহেশ জানান।

পিএমশ্রী জামিরা হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্ষেত্র পর্যবেক্ষন

পরে শিক্ষার্থীরা হাইলাকান্দি আইটি আই, মণিপুর চা-ঘর ও ঐতিহাসিক ব্রিটিশ সাহেবের বাংলো ভ্রমণ করে। ভ্রমণকালে তারা গাইড শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন অজানা তথ্য ও সরঞ্জামের সান্নিধ্য লাভ করে।আজকের ভ্রমণে স্থানীয় শিক্ষক ও সমসজসেবী অরূপ গোয়ালা ও এগ্রোভেটের নতুন আধিকারিক এস দে উপস্থিত ছিলেন। গাইড শিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন আয়নাল হক বড়ভূইয়া, মোহনকুমার অগ্রহারি, কামরুজ্জামান লস্কর, পুলকেশ দাস, মধুমিতা দেব, নীলাঞ্জন দেব, মিসবাহুর রেহমান ও প্রধান শিক্ষক সুফিয়ান সিদ্দিকি বড়ভূইয়া।

Author

Spread the News