সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েন : জয়েন্ট ডিরেক্টর মনোরঞ্জন

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ নভেম্বর : উদারবন্দের দুর্গানগর দ্বিতীয় খণ্ডের বাহাদুর গ্ৰামে পোল্ট্রি, হাঁস এবং অন্যান্য সহযোগী খামারের বিষয়ে কৃষকদের নিয়ে সচেতনতা সভার আয়োজন করে পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগ। সোমবার এই সচেতনতা সভা শেষে  “অল কাছাড় প্রোল্ট্রি ডাককারি অ্যান্ড এলাইড ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন” নামের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এদিন প্রথমে উপস্থিত মুখ্য অতিথি পশুপালন বিভাগের কাছাড় জেলার জয়েন্ট ডিরেক্টর মনোরঞ্জন সরকার, পশুপালন বিভাগের কাছাড় জেলা অধিকর্তা জীতেন্দ্র ভূঁইয়া, ফিসারী বিভাগের কাছাড় জেলার এসডিএফডিও বিরাজ বি শর্মা, পশুপালন বিভাগের বিও ডাঃ রাজকিশোর গগৈ, রূপম দে, ডাঃ ভাস্করজ্যোতি দাস, ডাঃ লক্ষ্যজ্যোতি কাকতি প্রমুখ। সভার শুরুতে সঞ্চালনায় থাকা মণিতন সিংহ এই জেলার পোল্ট্রি, হাঁস, মৎস্য পালনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি সহ প্রশিক্ষণের বিষয়ে তুলে ধরেন। এরপর পশুপালন বিভাগের কাছাড় জেলার জয়েন্ট ডিরেক্টর মনোরঞ্জন সরকার বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, পোল্ট্রি, ছাগল, হাঁস ফার্মের উৎপাদনকারীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। কীভাবে হাঁস ও মুরগী পালনের মাধ্যমে একটি কৃষকের জীবনে উন্নতি ঘটে! তা প্রথমে জানতে হবে, কিন্তু বর্তমানে প্রোল্ট্রি মুগরি ফার্মের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতি দেখা দিচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সঠিক প্রশিক্ষণের অভাব, কৃষকদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হলে পশুপালন বিভাগের আওতায় প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলে কৃষকদের দ্বারা হোলসেল মার্কেট বানানোর পরামর্শ দেন।

সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েন : জয়েন্ট ডিরেক্টর মনোরঞ্জন

ফিশারী বিভাগের কাছাড় জেলার এসডিএফডিও বিরাজ বি শর্মা বলেন, সমগ্ৰ দেশে ৬৮ শতাংশ মানুষ গ্ৰামে বসবাস করেন। গ্ৰামের বসবাসকারীরা কৃষিকাজ সহ মৎস পালন ও চাষের উপর ভিত্তি করে জীবনযাপন করতে হয়। কৃষিকাজ ও মৎস পালনের মধ্য দিয়ে মানুষ স্বাবলম্বী হতে সক্ষম হয়। তিনি উপস্থিত মৎস্যজীবীদের কিভাবে মৎস্য পালন করতে পারেন এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নতি করতে পারেন এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন।

সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েন : জয়েন্ট ডিরেক্টর মনোরঞ্জন

পশুপালন বিভাগের বিও ডাঃ রাজকিশোর গগৈ ভারতবর্ষ একটি কৃষি প্রধান নদীমাতৃক দেশ। এসব দেশের মানুষের নানান উপার্জনের দিক হলো কৃষি। আর এইসব প্রেক্ষাপটের কৃষককে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড। এই কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে সোনার ফসল ফলানোর চেষ্টা করে এবং ক্ষুধার অন্ন মেটায়। কৃষকের উৎপাদিত কৃষি, পণ্য রপ্তানি হয় বিদেশে। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার একাধিক কর্মসূচি চালু করেছে। সরকারের প্রকল্পের সাহায্য পেতে হলে কৃষকদের কৃষিকাজে আগ্ৰহ ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এ দিনের সভার শেষে “অল কাছাড় প্রোল্ট্রি ডাককারি অ্যান্ড এলাইড ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন” নামের একটি সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়, এতে সর্ব সম্মতিক্রমে  উপদেষ্টা মনিতন সিংহ,সভাপতি বদরুস আলী লস্কর, সহ-সভাপতি সন্তুোষ সিংহ, সম্পাদক ইবোতোম্বি সিংহা, কোষাধ্যক্ষ কাজল হুসেন লস্কর, সদস্যরা আবিদ রাজা লস্কর, জগদেন্ধু সিংহ, লোকনাথ দাস, রাম গোপাল দাস, নেপাল সিংহ, সেবতি রাজবংশী, সাহাব উদ্দিন লস্কর, শান্তনু সিংহ, কৃষ্ণমোহন সিংহ, নরেন সিংহ সহ ৩১ জন বৈশিষ্ট্য কমিটি গঠন করা হয়।

Author

Spread the News