মোবাইল রিচার্জ প্ল্যান বাড়ানো নির্যাতনের সমান
।। মওলানা মহবুবুর রহমান।।
বরাক তরঙ্গ, ২ জুলাই : আধুনিক যুগে মোবাইল ছাড়া কার্যত গতিহীন আমাদের জীবন। মোবাইল আজকাল নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়োজন। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, গবেষক, লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি স্তরের, প্রতিটি পেশার গণ মানবের যোগাযোগ তথা প্রাত্যহিক বিভিন্ন কার্যক্রমে মোবাইল অপরিহার্য।
বর্তমানের ডিজিটাল সময়ক্ষণে মোবাইল সামাজিক যোগাযোগের এক অনন্য মাধ্যম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৈক্ষিক বিভিন্ন কার্যক্রম সহ অফিস আদালতেও মোবাইল সহযোগী। সর্বোপরি মোবাইল বর্তমান মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। উপরন্তু গত করোনাকালে শৈক্ষিক ও কার্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রম সাকুল্য অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ে। বিশেষত শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন মোবাইল – অনলাইন নির্ভর হওয়ার উপরিও বিষয়টি বহুল প্রভাব ফেলে। উপরন্তু উপায়ন্তর না থাকায় অনলাইন শিক্ষণ শিখনকে খুব প্রমোট করা হয়। ফলে এখন স্কুল কলেজের স্বাভাবিক পঠনপাঠন সচল হলেও শিক্ষার্থীরা অনলাইন, ইন্টারনেট কে সহযোগি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারে অভ্যস্ত। সর্বোপরি বর্তমানে অত্যাবশ্যক বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক মাধ্যম যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ই-মেল, গুগল, আদি ইন্টারনেট নির্ভর।
এদিকে টেলিকম কোম্পানিগুলো মোবাইল রিচার্জ ও ডাটা প্ল্যান যাচ্ছেতাই ভাবে বাড়িয়েছে। যা দুর্বিষহ। ভাবনীয় বিষয় হলো, আমরা উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ বেকার মানুষ এবং সিংহভাগ দেশবাসী দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী। উপরন্তু দেশের শিক্ষার্থীদের এক বড় অংশ পিছপড়া গরীব পরিবারের, যারা শিক্ষাখাতে স্কুল কলেজের খরচাদি যেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এহেন অবস্থায় দেশের টেলিকম কোম্পানিগুলোর রিচার্জ প্ল্যান বাড়ানো নির্যাতনের সমান। উল্লেখ্য, পূর্বতন অনাকাঙ্ক্ষিত মোবাইল রিচার্জ প্ল্যানে মানুষ যখন তিতিবিরক্ত তখন অতি সম্প্রতি দেশের বহুল প্রচলিত কোম্পানি জিও ও এয়ারটেল যাচ্ছেতাই ভাবে নতুন প্ল্যান ঘোষণা করেছে। জিও-র প্ল্যান আগামী ৩ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এহেন অবস্থায় দেশের সর্বশ্রেণীর মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। দেশের সর্বত্র চরম উষ্মা, উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশ্ন ওঠছে, টেলিকম কোম্পানি গুলো সুযোগ নিচ্ছে।