এফপিপিপিএ চার্জ অ্যাডজাস্টমেন্টের অজুহাতে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি, প্রতিবাদ
বরাক তরঙ্গ, ১ অক্টোবর : রাজ্য পুনর্বার এফপিপিপিএ চার্জ অ্যাডজাস্টমেন্টের অজুহাতে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধিতে অল আসাম ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমাৰ্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটি তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্ৰেস বার্তায় বলা হয় যে ‘ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পারচেজ প্রাইস এডজাস্টমেন্টে’ এর নামে রাজ্যে তিন’শ ইউনিট পর্যন্ত ৩০ পয়সা, তিনি’শ এক থেকে পাঁচশো ইউনিট পর্যন্ত ৫০ পয়সা এবং এ উপরে ১.২৯ টাকা প্ৰতি ইউনিট বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি সম্পূৰ্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার সাধারণ মানুষের অৰ্থনৈতিক দুরবস্থার কথা বিবেচনা না করে সরকার বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির করায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠবে।
প্রতি আর্থিক বছরের শুরুতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানী ‘টেরিফ ওৰ্ডার'( মাশুল নিৰ্ধারণ) ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটারি কমিশনের অনুমতি নিয়ে ধার্য করে। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইন্ধনের দাম কোনো কারণে বৃদ্ধি পেলে সাময়িক উৎপাদন খরচ মেটাতে গ্ৰাহকদের বিলে অল্প কিছু অর্থ আদায়ের আইনের সুযোগে আসামে প্রায় প্রতি মাসেই এফপিপিপিএ’র নামে অনৈতিকভাবে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করা হয়। ইন্ধনের মূল্য কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা গ্রাহকদের সামনে প্রকাশ না করেই সরকার অতিরিক্ত মাশুলের বোঝা গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপিয়ে অতিরিক্ত কোটি কোটি টাকা জনগণের থেকে সংগ্রহ করা হয়। বহু রাজ্যে এফপিপিপিএ চাৰ্জ বছরের শেষে অতি সামান্য পরিমাণে গ্ৰাহক থেকে সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু আসামে অতি উচ্চ হারে এই চাৰ্জ নেওয়া একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে এফপিপিপিএ চাৰ্জ, ফিক্সড চাৰ্জ, ইলেকট্ৰিসিটি ডিউটি চাৰ্জ ইত্যাদির নামে কোটি কোটি টাকা গ্ৰাহকদের থেকে নেয়া হচ্ছে অথচ উন্নত মানের পরিষেবা প্ৰদানে সরকার সম্পূৰ্ণ ব্যৰ্থ। লোডশেডিং, ল ভোল্টেজ সহ বহু সমস্যায় গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এই অন্যায় অযৌক্তিক এফপিপিপিএ চাৰ্জ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পাশাপাশি এই লুন্ঠনের বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী তীব্ৰ গ্ৰাহক আন্দোলন গড়ে তুলতে সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।