ইটখোলা কার্যালয়ের সামনে ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের
বরাক তরঙ্গ, ২১ ডিসেম্বর : এপিডিসিএল শিলচর ডিভিশন -৩ এর ইটখোলাস্থিত কার্যালয়ের সামনে অল অসম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এসডিই এর কাছে স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার স্মারকপত্র প্রদান কালে সংগঠনের প্রতিনিধিরা এসডিই-কে স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, শীতের মরসুমেও স্মার্ট মিটার ব্যাবহারকারীদের গ্রীষ্ম কালের মতোই বিদ্যুতের মাশুল দিতে হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।
তারা এও বলেন, এই ব্যবস্থা ভবিষ্যতে গ্রাহকদের বিল বহুগুণ বৃদ্ধি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না কারণ স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ হলেই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাকে ব্যাক্তিগতকরণ করা হবে। তখন বর্তমানে মাশুল বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের রেগুলেটারি কমিশন যে ভূমিকা থাকে তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে দেওয়া হবে। ফলে পেট্রোল, ডিজেল এর মতো বিদ্যুতের মাশুল কর্পোরেটদের ইচ্ছেমতো বাড়ানো কমানো হবে। ফলে সাধারণ গ্ৰাহকরা সর্বশান্ত হবেন। ফলে সর্বাবস্তায় বিদ্যুৎ পরিষেবাকে রক্ষা করার স্বার্থে স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা প্রত্যাহারের জোরালো দাবি উত্থাপন করা হয় এবং কারো ঘরে জোর করে স্মার্ট মিটার চাপিয়ে না দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও আজ এসডিই-কে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে একদিকে যখন বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাকে ব্যক্তিগতকরণ করার উদ্দেশ্যে সরকারি কোষাগারের কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্মার্ট মিটার বসানো হচ্ছে ঠিক তখনই শিলচর শহর সংলগ্ন তারাপুর -রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার অল অসম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কোর্ডিনেশন কমিটি তারাপুর -রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবপাড়ার বিদ্যুৎহীন পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের সমস্যা সমাধানে একমাসের সময়সীমা বেধে দিয়ে গত ১১ নভেম্বর এপিডিসিএল’র জেনারেল ম্যানেজারের কাছে প্রদান করা স্মারকপত্রের প্রতিলিপি এসডিই এর হাতে তুলে দেয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে সীমান্ত ভট্টাচার্য, অধ্যাপক অজয় রায়, রঞ্জিত চৌধুরী, সুব্রত কর, সঞ্জীব রায়, গৌরাঙ্গ নাথ, মানস দাস, ভবতোষ চক্রবর্তী, অরিন্দম দেব জহর দে মজুমদার, জয় দাস গুপ্ত, পুলক সেন, হিল্লোল ভট্টাচার্য, চাম্পালাল দাস, মিঠু চৌধুরী এবং দেবপাড়ার জনগণের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র দাস, সুমন দাস, স্বপন দাস, শ্রীকান্ত দাস, বিদ্যাসাগর দাস সহ প্রচুর লোক এপিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি দিন দিন জনগণের ভরসা বাড়ছে। দলমত নির্বিশেষে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের দাবিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছেন। তারা এও বলেন যে আগামী ২৯ ডিসেম্বর গুয়াহাটির লক্ষীধর বরা ক্ষেত্রে রাজ্য ভিত্তিক গ্ৰাহক যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে তাতে রাজ্যের পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে। তাই গ্রাহক সমাবেশে যোগ দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।