পুঠিখাল গ্রামে নির্বাচনী সভা এসইউসিআই-র
বরাক তরঙ্গ, ১৩ এপ্রিল : এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের পক্ষ থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে শিলচর আসনের প্রার্থী প্রভাসচন্দ্র সরকারের সমর্থনে ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের পুঠিখাল গ্রামে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন দলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক শ্যামদেও কুর্মী। তিনি বলেন ভোট এলে জনগণের সামনে স্বপ্নের ফেরী নিয়ে উপস্থিত হন ভোট সর্বস্ব দলের নেতারা। অথচ ভোট চলে গেলে নেতাদের দেখা মেলে না। আজ উন্নয়নের অর্থ দাঁড়িয়েছে ভোট কুড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রকল্প ঘোষণা করে বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্পের খরচ চালানো। এই ঋনের বোঝা জনগণের ভবিষ্যতকে যে ধ্বংস করেছে তা খোলাখুলিভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছে না। তিনি বলেন দেশে যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে সরকারি উদ্যোগে শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হত। দেশে কোটি কোটি কর্মক্ষম যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যর্থ সরকার স্বাধীনতার ৭৮ বছর পর ৮৪ শতাংশ জনগণকে দুবেলা দুমুঠো খাদ্য জোগাড় করার অবস্থায় পর্যন্ত রাখেনি। ফলে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারি অনুদানের উপর।
অন্যদিকে দেশের মুষ্টিমেয় কর্পোরেটদের হাতে জমা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসনে পুঁজিপতিরা যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল ঠিক একইভাবে বিগত দশ বছরে বিজেপি দল পুঁজিপতিদের হাজার হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স ছাড় দিয়ে, জিনিস পত্রের মূল্য আকাশছোঁয়া করে জনগণকে অবাধ শোষণ করেছে। ফলে একদিকে জনগণের আর্থিক অবস্থা মারাত্মক তলানিতে ঠেকেছে এবং আম্বানি, আদানি প্রমুখ পুঁজিপতিরা বিশ্বের ধনীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।তিনি বলেন দেশের জনগণ পুঁজিপতিদের শাসন শোষণ থেকে মুক্তি চাইছেন। ফলে নানা দাবিতে দেশের ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। তিনি বলেন, এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দল গণ আন্দোলনের পরীক্ষিত দল। তিনি সবাইকে দলের প্রার্থী প্রভাসচন্দ্র সরকারকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে আহ্বান জানান।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রার্থীর সমর্থনে চান্নিঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ফ্রেঞ্চনগরে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দলের প্রার্থী প্রভাস চন্দ্র সরকার ও শ্যামদেও কুর্মী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও আজ দলের পক্ষ থেকে মালুগ্রাম, তারাপুর, চেংকুড়ি রোড, অম্বিকাপট্টি, ন্যাশনাল হাইওয়ে ইত্যাদি স্থানের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন প্রার্থী প্রভাসচন্দ্র সরকার সহ জেলা সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী, অধ্যাপক অজয় রায়, নকুলরঞ্জন পাল প্রমুখ।