গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্টের জন্য ডলুর আরও পাঁচশো পঞ্চাশ বিঘা জমি অধিগ্রহণের বিরোধী সিটু
বরাক তরঙ্গ, ২০ নভেম্বর : জেলা আয়ক্তের আমন্ত্রণে জেলা আয়ুক্তের কনফারেন্স হলে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন এবং প্রশাসনের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রস্তাবিত গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্টের জন্য ডলু বাগানের আরও পাঁচশো পঞ্চাশ বিঘা জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আলোচনা হয়। আলোচনায় উপস্থিত আইএনটিইউসি ও বিএমএস, সরকারের প্রস্তাব সমর্থন করলেও বাগানের বৃহত্তম সংগঠন সিটু এর বিরোধীতা করেছে। সভায় প্রশাসনের আমন্ত্রণে উপস্থিত ছাত্র সংগঠন আটসা, জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়ায় আগে যাদের কোন ভূমিকা ছিল না তাদের প্রতিনিধিরা বলেন, বাগানের সকল শ্রমিক সরকারের প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। কিন্ত সিটুর পক্ষ থেকে লালবাগ ও ডলু ষ শ্রমিকদের স্বাক্ষরিত লিখিত অসম্মতিপত্র জেলাশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয় সোমবার।
বিগত কয়েক মাস আগেই ডলু বাগানে আরও ৭০ হেক্টর জমির অধিগ্রহণ করার কথা প্রশাসনের তরফে বলা হয়। সিটু তখনই এর বিরোধিতার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকপত্র প্রদান করে। গত ৭ নভেম্বর জেলা আয়ুক্তের আমন্ত্রণে সভায় আই এনটিইউসি ও বিএম এস সমর্থন জানালেও সিটু বিরোধ জানায়। এ পর সিটুর পক্ষ থেকে শ্রমিকদের মতামত জনা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করলে জেলা আয়ুক্ত ১৬ নভেম্বর সভার দিন নির্ধারিত করেন। এই সময়ের মধ্যেই সিটুর অন্তর্ভুক্ত এবিসিএমএস নেতৃত্ব শ্রমিকদের সঙ্গে সভা করেন এবং তাদের মতামত গ্রহন করেন। লালবাগে এক শ্রেণীর উগ্র কর্মী সিটু নেতৃত্বকে বাধাদানের চেষ্টা করেন।কিন্ত লালবাগের বহু শ্রমিক এবং ডলুবাগান শ্রমিকরা কোন ভাবেই ঘর বাড়ি ছাড়তে রাজি নন বলে জানিয়ে দেন। তাছাড়া, শ্রমিকরা অভিযোগ করেন যে আড়াই হাজার বিঘা জমির অধিগ্রহণের সময় স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কোনও ঘরবাড়ির উচ্ছেদ হবে না বলা হলেও সরকার চুক্তি ভঙ্গ করছেন। তাছাড়া চুক্তির শর্ত এক মাসের মধ্যেই পূরন করার সিদ্ধান্ত থাকলেও এখনও মাত্র ৩৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। বাগানের উৎপাদন অর্ধেক কমে গেছে।বাগানের অস্তিত্ব বিপন্ন তাই কোন ভাবেই নূতন প্রস্তাব মেনে নেওয়া যায় না। সামগ্রীক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিটুর রাজ্য কমিটিও নূতন জমি অধিগ্রহণের ও ঘর বাড়ির উচছেদের বিরোধিতা করেছে। সিটু নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য এক প্রেস বার্তায় এ খবর জানিয়েছেন।