বরাক তরঙ্গ, ৭ ডিসেম্বর : ধলাইর বড়জালেঙ্গায় শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মহিলা উদ্যমিতা প্রকল্পের অধীনে মহিলাদের হাতে দশ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয় এবং মূখ্যমন্ত্রীর এই বিশেষ সভায় যোগদান সেরে বাড়ি ফেরার পথে এলেনপুর এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পানিভরা এলাকার বেশ কয়েক জন আত্মসহায়ক গোঠের মহিলা। মহিলা দলের মধ্যে রাখী শীল নামক এক মহিলা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিলচরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রবিবার বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে রাখী শীলের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন ধলাইর বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস এবং বিভাগীয় ডাক্তারের সঙ্গে তার সুচিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে রোগীর পরিবারের হাতে কিছুটা আর্থিক সাহায্যও তুলে দিয়ে রোগীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
একই দিনে বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ দর্মিখাল জিপির বড়াইবস্তির বাসিন্দা শ্যামলা রায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। বর্তমানে শ্যামলা রায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। বিধায়ক নীহার রোগীর চিকিৎসায় যাতে কোন ধরণের গাফিলতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য বিভাগীয় ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন।
এছাড়াও এদিন রুকনি প্রথম খণ্ডের স্কুল ছাত্রী রিয়া দাস সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শিলচর মেডিকেল কলেজের অর্থপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তারও স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন ধলাইর বিধায়ক নীহার। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উভয় রোগীর নিকটাত্মীয়দের হাতে কিছুটা আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন বিধায়ক। তাছাড়া এলেনপুরে শনিবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পানিভরার মহিলা আত্মসহায়ক গোঠের মহিলাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং কিছুটা আর্থিক সাহায্যও প্রদান করেন বিধায়ক। এদিন বিধায়কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী কমলেশ দাশ। জনগণের সুখে দুঃখে প্রতিনিয়ত পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করার জন্য ধলাইর সর্বত্রই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস।


