‘কংগ্রেস কখনও জরুরি অবস্থার কলঙ্ক মুছে ফেলতে পারবে না’, মোদি
১৫ ডিসেম্বর : সংসদে সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকীতে এক বিশেষ আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে দাঁড়িয়ে ভাষণে লাগাতার গান্ধি পরিবারকে আক্রমণ করলেন তিনি। শনিবার এই আলোচনা চলাকালীন জওহরলাল নেহরুর অর্ডিন্যান্স, ইন্দিরা গান্ধির জরুরি অবস্থা থেকে শুরু করে মোদির ভাষণে উঠে এসেছে নানা বিষয়। মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস কখনও জরুরি অবস্থার কলঙ্ক মুছে ফেলতে পারবে না। এই দুই বছরের সময়কালে বিভিন্ন নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল।’
বিরোধী দল কংগ্রেসকে বিঁধে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের ২৫ বছর পূর্তিতে ভারতীয় সংবিধান ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারি করে জনগণের সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। গোটা দেশকে জেলখানায় পরিণত করা হয়েছিল। কংগ্রেস কখনই এই দাগ মুছে ফেলতে পারবে না।’
এরপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেও নিশানা করে মোদি বলেন, ‘নেহেরু এক সময় সমস্ত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছিলেন, সংবিধান যদি বাধা সৃষ্টি করে, তবে তা পরিবর্তন করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান পরিবর্তনে নেহরু যে বীজ বপন করেছিলেন তা ইন্দিরা গান্ধি অনুসরণ করেছিলেন। রক্তের স্বাদ পেয়ে সংবিধানের অপব্যবহার করে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তিনি। দেশের বিচারব্যবস্থার উপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য সাংবিধানিক সংশোধনী করে আদালতের ডানা কেটেছিলেন।’
কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ৬০ বছর মেয়াদকালে ৭৫ বার সংবিধান পরিবর্তনের অভিযোগও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের একটি পরিবার সংবিধানকে আক্রমণ করার কোনও সুযোগ ছাড়েনি। কংগ্রেস এতটাই রক্তপিপাসু ছিল যে সংবিধানের আত্মাকে রক্তপাত বারবার রক্তাক্ত করতে থাকে। ছয় দশকে সংবিধান ৭৫ বার পরিবর্তন করা হয়েছে।’ এখানেই থামেননি মোদি। রাজীব গান্ধিকেও ‘ভোটব্যাংকের রাজনীতিক’ বলে নিশানা করেছেন মোদি।

এছাড়াও এদিন মোদি বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হল ভারতের ঐক্য। আমাদের সরকার ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ৩৭০ ধারা সরিয়ে দিয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, জিএসটি ভারতের ‘অর্থনৈতিক ঐক্য’ নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, ‘এক দেশ এক রেশন’ গরিবদের ক্ষমতায়ন করেছে। আয়ুষ্মান কার্ড সহ ‘ওয়ান নেশন ওয়ান গ্রিড’ উদ্যোগকেও তুলে ধরেন মোদি।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।