দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৮ ডিসেম্বর : ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ১৪১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শিলচরের কনকপুর দ্বিতীয় খণ্ডের ১৪৫ নম্বর বুথে ‘আমার বুথ আমার দায়িত্ব’ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে পরিচিতি পর্ব ও সাংগঠনিক বিশদ আলোচনা সভা আয়োজিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রায় শতাধিক পুরুষ-মহিলা কংগ্রেস সমর্থকের উপস্থিতি রিপোর্ট করা হয়েছে। সভায় বিজেপি সরকারের দুর্নীতি ও বিভাজনমূলক রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতারা জনগণকে দলের পক্ষে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।সভার শুরুতে মুখ্য অতিথিদের গলায় উত্তরীয় সম্মান জানানো হয়। জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অভিজিৎ পাল, ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া (এনএসইউআই)-র প্রাক্তন সভাপতি জন্মজয় চৌধুরী এবং জেলা কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক পাকি পালকে সম্মানিত করেন কংগ্রেসের ১৪৫ নম্বর বুথের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ এবং শিলচর টাউন ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি প্রিয়ম দাস।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি অভিজিৎ পাল বলেন, “বিজেপি দলের চলে আসা দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে হলে জনগণকে পুনরায় কংগ্রেসের দিকে এগিয়ে আসতে হবে। শিলচরে উন্নয়নের নামে বিজেপি নেতারা চরম পর্যায়ে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি কংগ্রেসের ঐতিহাসিক অবদান তুলে ধরে দলকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান। এনএসইউআই-র প্রাক্তন সভাপতি জন্মজয় চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, “চারিদিকে জাতি-ধর্মের বিভেদের রাজনীতি চালিয়ে বিজেপি জনগণের মধ্যে ভয় ও লোভ দেখিয়ে ভোট কুড়োচ্ছে। কংগ্রেসের মতো জাতীয়তাবাদী দলই সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করতে পারে।” স্থানীয় নেতা বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, “বহু বছর পর বৃহত্তর কনকপুর দ্বিতীয় খণ্ডে এমন বড় কংগ্রেস সভা হচ্ছে। এটি প্রমাণ করে যে জনগণ বিজেপি থেকে সরে কংগ্রেসের দিকে ফিরে আসছেন। ‘আমার বুথ আমার দায়িত্ব’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা সাংগঠনিক শক্তি বাড়াব।” শিলচর টাউন যুব কংগ্রেসের সভাপতি প্রিয়ম দাস কনকপুরের রাস্তা নির্মাণে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, “কনকপুরের রোডের কাজে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তা জনগণের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে জনগণ এর প্রতিবাদ জানাবেন, আমি এতে আশাবাদী।”
সভায় সাংগঠনিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করে সকলে দলীয় স্লোগানে সভা শেষ করে। এই ধরনের সভা কংগ্রেসের স্থানীয় স্তরে সাংগঠনিক শক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।


