রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ১২ ডিসেম্বর : ধলাই বিএনএমপি স্কুল খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত মুখ্যমন্ত্রী চা জনজাতি ও আদিবাসী অনূর্ধ্ব–১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে ধলাই বিধানসভা চ্যাম্পিয়ন হল ওয়েস্ট জালেঙ্গা চা-বাগান। ধলাই কেন্দ্রে নয়টি চা বাগান দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। গত ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার। ফাইনালে মুখোমুখি হয় মনিয়ারখাল চা-বাগান ও ওয়েস্ট জালেঙ্গা চা বাগান। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৫–৪ গোলে জয় লাভ করে ওয়েস্ট জালেঙ্গা।
ফাইনাল শুরুর আগে মণিয়ারখাল চা-বাগানের এক ঝাক নৃত্যশিল্পীর পরিবেশিত ঝুমুর নৃত্য দর্শকদের মন জয় করে। পরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন ধলাইয়ের বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস, ধলাই সমাজেলা কমিশনার রক্তিম বরুয়া এবং চা জনজাতি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
বক্তব্যে ধলাই সমজেলার অতিরিক্ত কমিশনার দীক্ষা সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। চা জনজাতি ও আদিবাসী এলাকার প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে আনার জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতা বড় ভূমিকা রাখছে। খেলাধুলার মাধ্যমে যুবকদের শৃঙ্খলা, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে।
ধলাইয়ের বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চা-বাগান এলাকার উন্নয়নে যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন, এই টুর্নামেন্ট তার উজ্জ্বল প্রমাণ। বাগান এলাকার প্রতিভা রাজ্যের সম্পদ সরকার তাদের আরও বড় প্ল্যাটফর্ম দিতে বদ্ধপরিকর।
মাতৃভূমি সামাজিক সংস্থার সভাপতি সিতাংশু দাস বলেন, “চা জনজাতি ও আদিবাসী সমাজের ছেলেমেয়েরা ফুটবলে অসাধারণ প্রতিভা দেখাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এসব প্রতিভা নতুন আলোয় উঠে আসছে। বাগান থেকে দেশসেরা ফুটবলার তৈরি হবে এই আস্থা আমাদের আছে।

ফাইনাল ম্যাচের দিনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পারেশ তাঁতী (জেলা সম্পাদক, বিজেপি), তুষারকান্তি বর্মন (প্রাক্তন ফুটবলার), সুরজিত লোহার (জেলা চা মোর্চার সম্পাদক), প্রকাশ জয় (চা মোর্চা), সিতাংশু দাস (সভাপতি, মাতৃভূমি), কামি চাসা (বড়জালেঙ্গা চা বাগান), ভজন ফুলমালি, রাজেশ ছাগে (জেলা সোশ্যাল মিডিয়া, চা মোর্চা), সঞ্জয় কৈরি (নরসিংহপুর মণ্ডল সভাপতি, বিজেপি), কমলেশ দাস ও কটন দে সহ আরও বিশিষ্টজন। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্স-আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস, অতিরিক্ত সমজেলা কমিশনার দীক্ষা সরকার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা।


