ডিএসএ-র ‘চলো মাঠে যাই’ সম্পন্ন, সবাইকে দেওয়া হল সার্টিফিকেট ও পুরস্কার
বরাক তরঙ্গ, ১২ জানুয়ারি : কচিকাঁচাদের মাঠমুখী করে নিতে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবারে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠান চলো মাঠে যাই সম্পন্ন হল শুক্রবার। জাতীয় যুব দিবস তথা স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবস উপলক্ষে ২০২০ সালে প্রথমবার চলো মাঠে যাই আয়োজন করে ডিএসএ। পরের বছর আবার শুরু করে এটাকে রুটিনে পরিণত করার আশ্বাস দিয়েছিল পুরনো কর্মসমিতি। অবশ্য শিবব্রত দত্ত ও অতনু ভট্টাচার্য ডিএসএ-র দায়িত্ব নিলেও ধারাবাহিকতা রক্ষার চেষ্টায় আয়োজন করেছেন।
আয়োজন থাকলেও ঝাঁঝ ছিল না, সরঞ্জামের অভাবে কচিকাঁচাদের উৎসাহে ভাটা, এ ক্যাটাগরি ক্লাবের অংশগ্রহণ সীমিত____
এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী গনধিশানন্দ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায়, শিলচর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মঞ্জুল দেব, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সচিব অতনু ভট্টাচার্য, স্পনসরারদের মধ্যে প্রণয় বণিক, জয় বরদিয়া প্রমুখ। শেষদিকে উপস্থিত হয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সংশাপত্র সমেত পুরস্কার ও খাওয়ার প্যাকেট তুলে দেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন ডিএসএ-র ফিজিক্যাল শাখার সচিব মিঠুন রায়। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শের উপর আলোকপাত করে প্রাসঙ্গিক বক্তব্যে পেশ করেন প্রধান অতিথি গনধিশানন্দ মহারাজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাবেক ফিজিক্যাল শাখা সচিব উৎপল দত্ত।
প্রসঙ্গত, গত দু’বারের তুলনায় এবারে চলো মাঠে যাই অনুষ্ঠানটির কেমন যেন জৌলুসটা অনেক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে কচিকাঁচাদের খেলাধুলার সরঞ্জাম না থাকায় উৎসাহে ভাটা পড়ে। তারা কেবল ডিএসএ-র বিভিন্ন অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষার্থীদের কসরৎ দেখা ছাড়া তাদের কাছে আর কোন উপায় ছিল না। তাছাড়া আগের তুলনায় ক্লাব গুলোর স্টল সংখ্যাও ছিল নগন্য। ফলে যে প্রয়াস নিয়ে এই আয়োজন হয়েছিল, সেটার ঝাঁজ পরিলক্ষিত হয়নি। দেখা গেছে, টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টনের র্যাকেট কেবল অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়েয়া নিজে নিয়ে এসেছে। এখানে যাদেরকে প্রচারের বাজনা বাজিয়ে মাঠমুখী করে নিয়ে আনা হলো তারা কেবল দর্শক হয়েই থাকলেন। টেবিল টেনিসের মাত্র ১টা বোর্ড বসানো হলো। ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদির আলাদা কোর্ট সংখ্যা নেহাত ছিল, সীমিত ছিল খেলাধুলার অনেক বিভাগও। খেলাধুলার সব বিভাগকে প্রর্দশিত করতে সংস্থার এ ক্যাটাগরির ক্লাবগুলো ছিল নিস্ক্রিয়। সবকটি ক্লাব অংশ না নেওয়াতে অনেকটা ঝাঁঝ কমেছে এই অনুষ্ঠানের। শুধুমাত্র টাউন ক্লাব আ্যথলেটিক্সের কিছু সরঞ্জাম নিয়ে মাঠে হাজির ছিল। এছাড়া ছিল শিলচর স্পোর্টিং ক্লাব এবং বরাক উপত্যকা ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার স্টল।
এদিকে, শুরুতেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার পতাকা উল্টো হয়ে গেলেও প্রথমে কারও নজরে পড়েনি। পরে অবশ্য তা শুধরে নেওয়া হয়। তবে এবারে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সংশাপত্র সমেত পুরস্কার ও খাবার সুষ্ঠুভাবে দেওয়া হয়েছে। যা অংশগ্রহণকারীদের কাছে এক বাড়তি পাওনা। অনুষ্ঠানে ফেন্সিং, ক্যারাটে প্রর্দশন ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আলাদাভাবে করা হয়।
প্রতিবেদক : ইকবাল লস্কর, শিলচর।