বরাক তরঙ্গ, ২৩ ডিসেম্বর : কাছাড় জেলার মানবাধিকার সহায়তা সংঘের জেলা শাখা জেলা কমিশনারের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারকপত্র প্রদান করে। স্মারকপত্রের মূল বিষয় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর চলমান অত্যাচার এবং তাদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আবেদন। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত দিপুচন্দ্র দাসকে নির্মমভাবে অত্যাচার করে সর্বসমক্ষে হত্যা করা হয়েছে। তাকে জীবন্ত অবস্থায় আগুনে ভস্মীভূত করা হয়, যা মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ এবং মানবাধিকারের ঘোর অবমাননা। এই ঘটনা শুধু দিপুচন্দ্র দাসের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ক্রমবর্ধমান হামলার একটি নিদর্শন। সোমবার প্রদান করা স্মারকপত্রে এই ধরনের ঘটনা রোধে ভারত সরকারের তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি তুলে ধরার আবশ্যকতা তুলে ধরা হয়েছে। সংঘের কর্মকর্তারা জেলা কমিশনারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করে স্মারকপত্র প্রদান করেন। এই সাক্ষাতে সংঘের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত দাস, সভাপতি ধর্মেন্দ্র দাস, সুকান্ত চক্রবর্তী, জেলা প্রধান সজলকান্তি দাস, কোষাধ্যক্ষ অনিমেষ দাস, কার্যকরী সভাপতি সৌমিত্র সাহানী, সদস্যা শিপ্রা দাস, তারা রবিদাস, সুপ্রভ দাস, মোহিত নাথ এবং প্রদেশ সহ-সভাপতি রাজু দেবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। তারা জেলা কমিশনারকে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝান এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকপত্র পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস পান।
মানবাধিকার সহায়তা সংঘের জেলা প্রধান সজলকান্তি দাস বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার অব্যাহত রয়েছে। ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই অবস্থা রুদ্ধ করা সম্ভব নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে আমাদের ভাই-বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।” সংঘের এই উদ্যোগ কাছাড় জেলায় ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেছে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়েছে।


