বার্মিজ সুপারি : দলবদ্ধ হামলায় গুরুতর আহত যুবক সহ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা

বরাক তরঙ্গ, ২১ আগস্ট : সুপারির গাড়ি পুলিশের ধরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। বড় ভাইকে বাড়িতে না পেয়ে ক্ষেতে কাজ করা ছোট ভাইয়ের উপর দলবদ্ধ হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। দলবদ্ধ হামলায় গুরুতর আহত বছর ২৭ এর যুবক করিম উদ্দিন লস্কর ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কামিলি বেগম লস্কর এবং মা। তিনজনকে ধলাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে করিম ও তার স্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাটি লায়লাপুর পুলিশ পেট্রোল পোস্টের আওতাধীন অসম- মিজোরাম সীমান্তবর্তী বাঘখাল গ্রামের।

করিম উদ্দিনের ভাই হোসেন আহমদ লস্কর জানিয়েছেন, গত কিছুদিন আগে লায়লাপুর পুলিশ, বার্মিজ সুপারি বোঝাই একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল। তখন সুপারি ব্যবসায়ীরা করিম উদ্দিনের ভাই হোসেন আহমদ তাদের গাড়ি পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগে হোসেন আহমদের সঙ্গে বারকয়েক বিবাদে লিপ্ত হয়। হোসেন আহমদ তখন থেকে বিষয়টি লায়লাপুর পুলিশকে জানিয়ে আসছিলেন। রবিবার সুপারি ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন সহ অন্যান্যরা হোসেন আহমদকে প্রাণে মারার হুমকি দিলে রাতে হোসেন আহমদ বাড়িতে থাকেননি। সোমবার তিনি বিষয়টি লায়লপুর পুলিশকে পুনরায় অবগত করান। হোসেন আহমদ লায়লাপুর পুলিশ পেট্রোল পোস্টে থাকাকালীন সময়ে বিকেল তিনটার দিকে তার কাছে খবর আসে ক্ষেতে কাজ করা ছোট ভাই করিম উদ্দিনের উপর  উপর দলবদ্ধ হামলা চালিয়েছে আজিম উদ্দিনের দল। ঘটনার খবরে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন লালাপুর পুলিশ পোস্টের সাব ইন্সপেক্টর দীপজ্যোতি বরুয়া।

বার্মিজ সুপারি : দলবদ্ধ হামলায় গুরুতর আহত যুবক সহ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা
হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সামারুন বেগম লস্কর।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হন করিম উদ্দিন লস্কর ও তার স্ত্রী কামিলি বেগম লস্কর ও তার মা সামারুন বেগম লস্কর। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ধলাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠায়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক করিম উদ্দিন লস্কর ও তার স্ত্রী কামিলি বেগম লস্করকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। করিম উদ্দিনের মা সামারুন বেগমেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Author

Spread the News