উধারবন্দে নৃশংস ঘটনা, যুবকের প্রহারে প্রাণ হারালেন সৎমা, ধৃত

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৪ নভেম্বর : ছেলের প্রহারে সৎমায়ের প্রাণ গেল। বেধড়ক মারধর করলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওই মহিলা। আঘাতে মৃত্যু ঘটল মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে উধারবন্দের লাঠিগ্রাম চতুর্থ খণ্ডে। তবে মহিলার আত্মীয়রা শুধু এক ছেলের প্রহারে মৃত্যু ঘটেছে মানতে নারাজ। তারা অভিযোগ করে বলেন মহিলার স্বামী সহ তিন ছেলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। রবিবার মেডিক্যাল মর্গের সামনে মহিলার মৃতদেহ নিয়ে আত্মীয়রা সুবিচারের দাবি জানান।

উধারবন্দে নৃশংস ঘটনা, যুবকের প্রহারে প্রাণ হারালেন সৎমা, ধৃত

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ গৃহবধূ হামিদা বেগম বড়ভূইয়াকে সৎছেলে নজমুল হুসেন গাজী লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার স্বামী টুনুমিয়া গাজী সঙ্গে সঙ্গে হামিদা বেগমকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা হামিদাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর দু’দিন মৃতদেহ মেডিক্যালের মর্গে রাখা ছিল।

উধারবন্দে নৃশংস ঘটনা, যুবকের প্রহারে প্রাণ হারালেন সৎমা, ধৃত

এ দিকে, নৃশংস ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা উদারবন্দ পুলিশে নজমুলকে সমঝে দেন। বর্তমানে উদারবন্দ থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে নজমুল। হামিদা বেগমের আত্মীয়রা জানান টুনুমিয়া গাজী আগে আরও তিনটি বিয়ে করেছেন। এভাবে অত্যাচার চালানোতে প্রত্যেকেই ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু হামিদা বেগমের বাপের বাড়িতে কেউ না থাকায় মুখ বন্ধ করে অত্যাচার সহ্য করেছেন। অবশেষে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে হামিদাকে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

Author

Spread the News