চাঁদের কু-মেরু জয়ে অংশীদার বরাকের দুই যুবকও, গর্বিত
বরাক তরঙ্গ, ২৪ আগস্ট : চাঁদের কু-মেরু জয় ভারতের। এই জয়ে অংশীদার হিসেবে রয়েছেন বরাকের দুই যুবকও। তাঁদের অংশীদারে গর্বিত বরাকও। চন্দ্রযান ৩ সফল ভাবে অবতারণ অভিযানে জড়িত শিলচরের রামনগরের টুকুরগ্রামের বাসিন্দা ওযাই খাম্বাটন সিংহের ছেলে বৈজ্ঞানিক ২৮ বছরের তরুণ ওয়াই বিশাল সিংহ। বিশাল কর্মরত ছিলেন চন্দ্রযান টিমের মিশনে। রয়েছেন বৈজ্ঞানিক দলে হাইলাকান্দির ছেলে ড০ বাহারুল ইসলামও।
২০১৯ সালে জুলাই মাসে ইসরো যোগদান করেছেন ওয়াই বিশাল সিংহ। দেশের গৌরবময় অধ্যায় ছেলের অংশগ্রহণ করায় আনন্দিত মা-বাবা সহ বরাকবাসী।
এ দিকে, চন্দ্রযান-৩ এর দেশের এক প্রান্তে থাকা এই জেলার এক সরকারি স্কুল থেকে লেখাপড়া করে একেবারে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর চন্দ্রযানের বৈজ্ঞানিক। এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন। চন্দ্রযান-৩ এর বৈজ্ঞানিকদের দলে ছিলেন তিনি। হাই-রিজলিউশন সেন্সার তৈরী দলের সদস্য ছিলেন ড০ বাহারুল ইসলাম। এমএসসি পাশ করে পিএচডি ডিগ্রী নিয়ে ২০০৯ সালে যোগদান করেন ইসরোতে৷
পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করলো ভারত। সেই সঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌছানো প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড করল। আর এই অসাধ্য সাধন করে তুলেছেন এর পেছনে থাকা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র অর্থাৎ ‘ইসরো’র বৈজ্ঞানিকরা। তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আজ ভারতের প্রত্যেক নাগরিক গর্বিত। এই কৃতি বিজ্ঞানীদের মধ্যে ছিলেন হাইলাকান্দি ডঃ বাহারুল ইসলাম। চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণে ছিল তার বিশেষ অবদান। চন্দ্রযান-৩ এর জন্য হাই রিজলিউশন সেন্সার বানানো দলে ছিলেন তিনি। হাইলাকান্দির সৈয়দবন্দ মধ্য ইংরাজি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রয়াত ময়ীনুল হক বড়ভূইয়া ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেহেনা বেগম বড়ভূইয়ার ছেলে ড০ বাহারুল ইসলাম। হাইলাকান্দির সরকারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন।