বরাক প্রদীপ দত্তরায়ের বাবার সম্পত্তি নয় : আলফা (স্বা)
বাংলাভাষী জনগণের বিরোধিতা খুবই আশ্চর্য ও দুর্ভাগ্যজনক : প্রদীপ____
বরাক তরঙ্গ, ১৬ অক্টোবর : পৃথক বরাক নিয়ে অসমে বসবাসকারী বাঙালিদের হুঁশিয়ারি দিল আলফা। রবিবার উগ্রপন্থী সংগঠনটি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বাঙালিদের এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে বলেও জানিয়েছে। পাশাপাশি তেমন না হলে রাজ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছে আলফা। জঙ্গি সংগঠনের কথায়, বাঙালিরা দু’মাসের মধ্যে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হলে চরম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। রাজ্যে।
এদিন একটি ই-মেইল যোগে, আলফার প্রচার শাখার সদস্য রুমেল অসম বরাক উপত্যকা-ভিত্তিক সংগঠন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (বিডিএফ)-এর প্রধান আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়কে বরাক উপত্যকাকে আলাদা করার জন্য সমর্থন জোগাড় করার। জন্য নিন্দা করেছেন।
আলফা বলেছে, ‘অসমে বিভিন্ন সম্প্রদায় সম্প্রীতি ও ঐক্যে বসবাস করছে। কিন্তু প্রদীপ দত্তরায় বরাক উপত্যকাকে পৃথক করার দাবি তুলে জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তাঁর পৃথক বরাক উপত্যকার দাবি জানানোর কোনও অধিকার নেই। এমনকী দেশভাগ থেকে বরাক উপত্যকাকে রক্ষা করার বিষয়ে তাঁর পূর্বপুরুষদেরও কোনও অবদান নেই। তাই আমরা কোনও অবস্থাতেই অসমকে বিভক্ত করতে দেব না।’ এও বলা হয় বরাক প্রদীপ দত্তরায়ের বাবার সম্পত্তি নয়।
এদিকে, প্রদীপ দত্তরায় এদিন বলেছেন, বাঙালিদের সমস্যা সমাধান হলেই বরাক পৃথকের প্রস্তাব তাঁরা প্রত্যাহার করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ আলফা-র কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি, যেখানে তারা বরাক পৃথকীকরণের বিরোধিতা করেছে। আলফা সংগঠনের জন্ম যোরহাটে। তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। বাংলাদেশের সম্পদ যেমন জল, ভূমি এবং খাদ্য ব্যবহার করে অসমে বিপ্লব চালানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছিল। এখন অসমে বাংলাভাষী জনগণের বিরোধিতা করছে। এটা খুবই আশ্চর্যজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি বলেন, ‘তারা অসমকে একটি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে চাইছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ১০০ বছরেও এই দাবি মেনে নেবে না। অসম সরকার এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, তাঁরা শান্তি আলোচনার জন্য আগ্ৰহী। অথচ আলফা শান্তি আলোচনায় বসতে অস্বীকার করছে।’
প্রদীপ দত্তরায় বলেন, বরাক উপত্যকায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর সমস্যা তথা উদ্বেগগুলি অবশ্যই সমাধান করা উচিত। উল্লেখযোগ্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প, কর্মসংস্থানের সুযোগ, নির্বাচনী এলাকা সীমানা পুনর্নির্ধারণ, এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ইত্যাদি। তিনি বলেন, আলফা-আই এ সব বিষয়ে কখনও আওয়াজ তুলেনি।