র্যাগিং, বুথ দখল : কৃপাকে হাইকোর্টের সমন, ১৯ আগস্ট শুনানি
বরাক তরঙ্গ, ২২ জুলাই : সদ্য সমাপ্ত করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালার বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরীর দায়ের করা নির্বাচনী আবেদনের শুনানি করেছে এবং সাংসদ কৃপানাথ মাল্লার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে গৌহাটি হাইকোর্ট। সোমবার সমন জারি করেছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ৭ নম্বর করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরী বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালার বিরুদ্ধে ভোগগ্রহণের দিন ব্যাপক র্যাগিং, বুথ দখল, অযথা প্রভাব, উৎকোচ, ভোটারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা সহ একাধিক অভিযোগ এনে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করে ছিলেন।
মাত্র ১.৬ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়া হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরীও নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারক সঞ্জয় কুমার মেধি সোমবার কৃপানাথ মালার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
পিটিশনের লিগ্যাল টিমের আহ্বায়ক গৌতম চৌধুরী ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনে ২০টি ভোটকেন্দ্রে কারচুপি এবং বুথ দখলের সুনির্দিষ্ট ঘটনার বিষয়ে একাধিক অভিযোগ উল্লেখ করে একটি ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। আবেদনকারীর নির্বাচনী এজেন্ট ভোটের দিনে মোট ৩১টি মনোনীত ভোটকেন্দ্রে অসদাচরণের বিবরণ দিয়ে বুথ দখলের চেষ্টায় দুর্নীতিবাজ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, দখলকৃত ৪৭টি বুথের ভোটার দুই প্রার্থীর ব্যবধানের প্রায় দ্বিগুণ। পিটিশনে ভোট গণনায় বিভ্রান্তির অভিযোগও করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ আসনে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৮ ভোট পড়েছে। পোস্টাল ব্যালট যোগ করার পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ১১,৪৩,৭৯৬। তবে গণনার দিন মোট ভোট বেড়েছে ১১,৪৭,৬০৭টি। এর মানে হল যে গণনার দিনে ৩৮১১ বেশী ভোট পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে কৃপানাথ মালার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। আদালত একটি দ্রুত শুনানির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ১৯ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
শুনানির সময় আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কেপি পাঠক, মৃন্ময় দত্ত, এএম আহমেদ, মোস্তফা খাদ্দাম, ইমরান উদ্দিন চৌধুরী ও এমএ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।