রূপক চক্রবর্তী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২১ ডিসেম্বর : প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর সংঘটিত একের পর এক নৃশংস হামলা এবং দিপুচন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু যুবককে প্রকাশ্যে মারধর করে আধমরা অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। রবিবার শিলচরের গোলদিঘী মলের সামনে দু’টি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং জেহাদি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন মোহাম্মদ ইউনুসের কুশপুতুল দাহ করেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।
সমাবেশ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সংগঠনের নেতারা জানান, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে চরম অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে হিন্দুদের মঠ ও মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে, পাশাপাশি হিন্দু যুবকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে—যা গোটা দেশে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। বাংলাদেশের এই ঘটনাবলীর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়—অবিলম্বে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা। একই সঙ্গে নিরীহ হিন্দুদের সুরক্ষায় ভারত সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপের দাবি জানান সংগঠনের কর্মকর্তারা।উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের হুমকি দেওয়া বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বক্তব্যেরও কড়া জবাব দেন সংগঠনের নেতারা।

তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় জানান, এই ধরনের মন্তব্যের উপযুক্ত জবাব দিতে বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রস্তুত।বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যাবতীয় আদান-প্রদান বন্ধ করার দাবিও ভারত সরকারের কাছে জোরালো ভাবে তুলে ধরেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।



