দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শিলচর আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে : অরূপকুমার

“দীর্ঘস্থায়ী ও জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যতের পথ” শীর্ষক আলোচনা গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ে

বরাক তরঙ্গ, ২০ নভেম্বর : অসম সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সূচনাকৃত কর্মসূচি “চিফ মিনিস্টারস গ্রিন ফেলোশিপ ২০২৫-২৬” এর উপর ভিত্তি করে “দীর্ঘস্থায়ী ও জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যতের পথ” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অসম দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সভাপতি ড. অরূপকুমার মিশ্র। এছাড়াও অন্যান্য সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অসম দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সদস্য-সচিব ড. গৌতমকৃষ্ণ মিশ্র, এডুপ্যাকেডের সিইও প্রকাশকুমার সিংহ, কাছাড় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আঞ্চলিক কার্য নির্বাহী প্রকোশলী (ভারপ্রাপ্ত) অরবিন্দ দাস, করিমগঞ্জ কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ও অসম সায়েন্স সোসাইটির ড. নির্মল সরকার, গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিরঞ্জন রায়, এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। সভায় ড. অরূপকুমার মিশ্র তাঁর ভাষণে বলেন, পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে বিশাল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন সঠিক মনোভাবের। তিনি চিফ মিনিস্টারস গ্রিন ফেলোশিপের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। তিনি এই ফেলোশিপ গ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানান যাতে তারা অসমের পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসে।

‎ড. মিশ্র সামান্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংবাদমাধ্যম অনেকসময় দূষণ–সংক্রান্ত খবর যথাযথভাবে প্রকাশ করে না, যার ফলে অনেক ভালো ও আশাপ্রদ খবরও প্রকাশিত হয় না। তিনি আরও বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শিলচর আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে এসেছে।

‎শিলচরে অত্যন্ত উন্নতমানের দূষণ পরীক্ষা করার মতো গবেষণাগারের উদ্বোধনও আজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর কাছাড় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কার্য নির্বাহী প্রকৌশলী অরবিন্দ দাস বলেন, দূষণমুক্ত অসম গড়ে তুলতে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, এই অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা গবেষণাগারটি ব্যবহার করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে মানুষের মাঝে পরিবেশ–সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

‎উপাচার্য অধ্যাপক নিরঞ্জন রায় বলেন, পরিবেশ রক্ষা কিভাবে করতে হয়, তা আমাদের প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখিত আছে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে এ বিষয়টি বর্ণিত রয়েছে। সেই সময়েও সংরক্ষিত বনের ধারণা ভারতে প্রচলিত ছিল। তিনি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে ধন্যবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

এরপর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে ইন্টার্নশিপ সম্পন্নকারী ছাত্রছাত্রীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন উপাচার্যসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা ড. সঙ্গীতা দে। সবশেষে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। এ দিন শুরুতে সরস্বতী বন্দনা পরিবেশন করে ছাত্রী স্বর্ণালী পুরকায়স্থ। ‎সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষানিবন্ধক ড. অভিজিত নাথ। অসম দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সভাপতি ড. অরূপকুমার মিশ্রের পরিচিতি পাঠ করেন ড. দীপরাজ চক্রবর্তী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *