পরণ দ্য ব্যলেশপ এর “অমৃত কুম্ভ মহোৎসব”
পিএনসি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২০ নভেম্বর : পরণ দ্য ব্যলেশপ, করিমগঞ্জ তথা বরাক উপত্যকার সাংস্কৃতিক জগতের এক লব্ধপ্রতিষ্ঠ নাম। ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য পরিচিত প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই একটু আলাদা স্বাদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করে থাকে। এবার পরণ, দ্য ব্যলেশপ এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হলো প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান “অমৃত কুম্ভ সা্ংস্কৃতিক মহোৎসব। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ১০ নভেম্বর থেকে এবং শেষ হয় ১৭ নভেম্বর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান দিয়ে। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় বিপিন চন্দ্র পাল স্মৃতি ভবন ও করিমগঞ্জ আইন মহাবিদ্যালয়ে।
প্রথম দিন১০ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় বাসব চক্রবর্তী ও মণীশা পুরকায়স্থের মঞ্চ পরিচালনায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ডঃ শুভাশিস চক্রবর্তী, সুভদ্রা ভট্টাচার্য, যশোদীপ কর ও দিব্যজ্যোতি চক্রবর্তী।
এদিন সকালের পর্বে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র নৃত্য ও ইংরেজি কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। বিকেলের পর্বে অনুষ্ঠিত হয় অঙ্কন ও রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রতিযোগিতা।
রবীন্দ্র নৃত্যের ফলাফল
বিভাগ – প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয়।
ক’ বিভাগ – স্বর্ণাঙ্কিতা সাহা, প্রিয়াংশী দাস, অহনা চক্রবর্তী।।
খ’ বিভাগ – দেবাস্তুতি আচার্য্য, প্রত্যাশা রায়, সৃষ্টি আচার্য্য।
গ’ বিভাগ – দেবিকা শর্মা, তনুশ্রী দাস, অনিন্দিতা দাস।
ঘ’ বিভাগ – আয়ুষ্মিতা দেব, স্নেহা দেব, শিল্পা চক্রবর্তী।
অঙ্কন কলার ফলাফল
ক’ বিভাগ – আফ্রিন আহমেদ, প্রিয়াঞ্জনা দাস, রাজনন্দিনী বনিক।
খ’ বিভাগ – রিতুজা দাস, আরাধ্যা চক্রবর্তী, সাগরিকা কর।
গ’ বিভাগ – ঋতিকা রায়, উদিতা বনিক, সুকন্যা দাস।
ঘ’ বিভাগ – মহুয়া ভান্ডারি, আসিফুর রহমান, স্বেতা আচার্য্য, সমৃদ্ধি চক্রবর্তী।
ঙ’ বিভাগ – কুশল নাথ, দিয়া পাল।
ইংরেজি কবিতা আবৃত্তি ও পাঠের ফলাফল।
ক’ বিভাগ – স্বর্ণাঙ্কিতা সাহা, স্বাধিকা চক্রবর্তী, শিবাংশ লস্কর।
খ’ বিভাগ – সৌমিলী সাহা, শ্রেষ্ঠা কালাঞ্জী, রুহানা পারবিন।
গ’ বিভাগ – আবিস্কা বরা, খাদিজা বেগম, হাসান আহমেদ।
ঘ’ বিভাগ – প্রিয়া সিনহা, তনয়া চৌধুরী।
রবীন্দ্র সঙ্গীতের ফলাফল
ক’ বিভাগ – সৌরজয় কর।
খ’ বিভাগ – রেশমী সেন, অনন্যা চক্রবর্তী, স্বরূপ চন্দ, তমোঘ্ন গোস্বামী।
গ’ বিভাগ – প্রত্যাশা চন্দ, শাশ্বতী দাস চৌধুরী।
ঘ’ বিভাগ – জয়শ্রী তন্তূবায়, দেবিস্তূতি দাস।
দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর, শুক্রবার সকালের পর্বে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা কবিতা আবৃত্তি ও পাঠ প্রতিযোগিতা এবং সৃজনশীল নৃত্যের প্রতিযোগিতা। এদিনের দুই বিচারক ছিলেন সন্দীপ দত্ত ও শুভ্রাংশু নাথ মজুমদার।
বাংলা কবিতা আবৃত্তি ও পাঠের ফলাফল।
ক’ বিভাগ – সারিকা চক্রবর্তী, সৌরজয় কর, শুভশ্রী নাথ।
খ’ বিভাগ – ঋষিতা নাথ, সৌমিলি সাহা, পুষ্পাঞ্জলি দাস।
গ’ বিভাগ – রূপকথা সেন, আরাধ্যা দে।
ঘ’ বিভাগ – শ্রেয়শী সাহা, দেবস্মিতা দাস।
সৃজনশীল নৃত্যের ফলাফল
ক’ বিভাগ – অহনা দত্ত, বেদাংশী দাস পুরকায়স্থ, অহনা চক্রবর্তী।
খ’ বিভাগ – অনুশ্রী দাস, সুনয়না সিনহা, শ্রীজা দত্ত।
গ’ বিভাগ – স্নিগ্ধা সেন, দিব্যাংশী দত্ত, তনুশ্রী দাস, শ্রেয়শী পাল।
ঘ’ বিভাগ – অপি নাথ, শিল্পা চক্রবর্তী, আয়ুষ্মিতা দে।
তৃতীয় তথা অন্তিম দিনে, অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর, রবিবার, সকালের পর্বে অনুষ্ঠিত হয় কত্থক নৃত্যের প্রতিযোগিতা। এতে বিচারকের ভুমিকা পালন করেন সুমনা চক্রবর্তী।
কত্থক নৃত্যের ফলাফল –
ক’ বিভাগ – মোক্ষিতা দাস, রিদ্ধি রায়, প্রিতীষা নাথ।
খ’ বিভাগ – স্নেহারিয়া দাস, সোনাক্ষী কানুনগো, আরাধ্যা লোধ।
গ’ বিভাগ – সাগরিকা দাস, উজ্জয়িনী সিনহা, নয়না ভট্টাচার্য
ঘ’ বিভাগ – দেবজা প্রতিষ্ঠা, দেবযানী চৌধুরী।
১৭ নভেম্বর, সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় বিপিন চন্দ্র পাল স্মৃতি ভবনে “অন্য দৃষ্টি” শীর্ষক এক বর্ণাঢ্য নৃত্যগীতিআলেখ্য প্রস্তুত করেন পরণ দ্য ব্যলেশপ এর ছাত্রছাত্রী ও সদস্য-সদস্যাবৃন্দরা। এতে সঙ্গীত পরিচালনা করেন দেবশ্রী চক্রবর্তী। ভাষ্যপাঠ- কুমার চৌধুরী। প্রেক্ষাপট – বিজয় দত্ত। আবৃত্তি ও সঙ্গীতাংশে ছিলেন মৌমিত্র চৌধুরী, মণীষা পুরকায়স্থ, রাজদীপ দাস, নীলাঞ্জনা মোদক, অভিজিৎ দে ও দিব্যাঙ্গনা চক্রবর্তী। যন্ত্রাংশে ছিলেন রঞ্জিত দেব ভানু ও চিরঞ্জীব অধিকারী। নৃত্যাংশে ছিলেন জাহ্নবী ভট্টাচার্য, মধুমিতা নাথ, শাশ্বতী দত্ত, শুভশ্রী চক্রবর্তী, বৃন্দা দত্তচৌধুরী, দাক্ষায়ণী চক্রবর্তী ও দেবযানী চৌধুরী। মঞ্চায়নে ডঃ শুভশ্রী দত্ত ও রূপাঞ্জলি আদিত্য। মঞ্চ পরিকল্পনায় ময়ুরী চক্রবর্তী, সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, প্রজ্ঞা নাথ ও অভিষেক সুত্রধর। সার্বিক পরিচালনা- বাসব চক্রবর্তী। একসুত্রে বাঁধা এই জমজমাটি প্রযোজনাটি দর্শক শ্রোতাদের আনন্দ বিহ্বল করে তোলে।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ শুভাশিস চক্রবর্তী, সুলেখা দত্ত চৌধুরী, সুমনা চক্রবর্তী, ডঃ অর্পিতা দেবী, ও অনিতা দত্ত চৌধুরী।
পরণ দ্য ব্যলেশপ এর এই সপ্তাহব্যাপী কর্মযজ্ঞে সবার মাঝে, বিশেষতঃ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক দুর্নিবার উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। সব সময়ের মতোই পরণ দ্য ব্যলেশপ এর সময়ানুবর্তিতা ও নিয়মানুবর্তিতাও আলাদা নজর কেড়েছে।